দুই দশক বাদে অ-গান্ধি হিসাবে কংগ্রেসের সভাপতির চেয়ারে বসলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। বুধবার শতাব্দী প্রাচীন দলের দায়িত্ব নিলেন খাড়গে। কুর্সিতে বসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রবীণ রাজ্যসভার সাংসদ। কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "এটা একটা আবেগপ্রবণ যাত্রা আমার জন্য। একজন শ্রমিকের সন্তান হিসাবে, একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী হিসাবে দলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া একটা বিরাট পাওনা। আমি এই সম্মানের জন্য কৃতজ্ঞ।"
এদিন খাড়গে বলেন, "১৯৬৯ সালে একজন ব্লক কমিটি সভাপতি হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। কংগ্রেসের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে চলা আমার কাছে গর্বের বিষয়। যে দলকে মহাত্মা গান্ধি এবং জওহরলাল নেহেরুর মতো মানুষ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই দলের দায়িত্ব পাওয়া আমার কাছে সেরা পাওনা। সভাপতি হিসাবে আমার প্রধান কর্তব্য হবে কর্মীদের দেখা। একসঙ্গে আমরা এক আলোকজ্জ্বল ভারত তৈরি করতে পারব। প্রত্যেকের সমানাধিকার, সমান সশক্তিকরণ হবে। দেশের সংবিধানকে তুলে ধরব। প্রত্যেকের অধিকার এবং সুযোগকে মান্যতা দেব। যাঁরা হিংসা, ঘৃণা এবং লড়াইকে ছড়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।"
আসন্ন হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাট নির্বাচন নিয়ে খাড়গে বলেছেন। এই রাজ্যগুলিতে পরিবর্তন দরকার। সেখানকার মানুষ চাইছেন। বলেছেন, "এই রাজ্যগুলিতে আমাদের দলের শক্তি দেখাতে হবে। যদি আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করি তাহলে সাফল্য আসবেই। আমরা মহাত্মা গান্ধির সৈনিক। আমরা কাউকে ভয় পাই না। যখন কোনও কংগ্রেস কর্মী তাঁর ভয়কে জয় করে, তখন অনেক বড় সাম্রাজ্যও ধরাশায়ী হয়।"
আরও পড়ুন সভাপতি নির্বাচনে হেরেছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দৌড়ে বেশ কয়েক পা এগিয়ে গেলেন থারুর
এদিন তিনি দলের উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের মূল এজেন্ডার কথা বলেন। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দলের ৫০ শতাংশ দলীয় পদ পাবেন ৫০ বছরের নীচের কর্মীরা তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন খাড়গে। খাড়গেকে অভিনন্দন জানিয়ে সনিয়া গান্ধি বলেন, "কংগ্রেসের সভাপতিত্ব বিরাট দায়িত্ব। আমি আমার কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। নয়া সভাপতি খাড়গেজিকে আমার অনেক অভিনন্দন। পরিবর্তন দুনিয়ার নিয়ম। কংগ্রেস সময়ে সময়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস দল এই পরিস্থিতি সামলে বেরিয়ে আসবে।"