দায়িত্ব নিয়েই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জনসাধারণের কাজে কোনও 'ফাঁকি' বরদাস্ত নয়, সাফ বার্তা পঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির। এবার থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে রাত ১০টা পর্যন্ত দফতরের কাজ করতে হবে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের, কমাতে হবে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও, এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। প্রশাসনে 'ভিআইপি সংস্কৃতি' ঘুঁচিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির সরকার উপহার দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য, এমনই জানিয়েছেন চান্নি। আগামী তিন মাসের মধ্যে গোটা পঞ্জাব তাঁর সরকারে এই 'বদল'-এর ফল পাবে বলেও আশাবাদী নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের জায়গায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন চরণজিৎ সিং চান্নি। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের নিয়ে এর আগে একটি বৈঠক করেছেন তিনি। এটি ছিল চান্নি মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠক। জনগণের কাজে কোনও 'ফাঁক' রাখা চলবে না, প্রথম বৈঠকের পর দ্বিতীয় বৈঠকেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের একই বার্তা চান্নির। রাজ্যের প্রতিটি বিধায়ককে সরকারের 'অ্যাম্বাসাডর' বলেও সম্মান জানিয়েছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে চান্নি মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকেও নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক করেছিলেন চান্নি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মন্ত্রীদের দফতরের দায়িত্ব না দিয়েই পরপর দুটি ক্যাবিনেট বৈঠক করে ফেলেছেন চান্নি। তবে আগামী ১ অক্টোবর পরবর্তী ক্যাবিনেট বৈঠকের দিন স্থির করা হয়েছে। ওই বৈঠকে স্পষ্টভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। এমন জানিয়েছেন সরকারি এক মুখপাত্র।
আরও পড়ুন- পুজো মিটলেই ফের ভোট, বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন ৩০ অক্টোবর
পঞ্জাবের এক মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন অফিসে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে হবে।” জানা গিয়েছে, মন্ত্রীদের সপ্তাহে অন্তত একবার জেলা পরিদর্শনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চান্নি। জেলায় সরকারি কাজ কীভাবে চলছে তা দেখতে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কয়েকজন মন্ত্রী জেলা ধরে-ধরে তাঁদের দায়িত্বে দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই জেলাগুলিতে যাতে তাঁরা বাড়তি মনোনিবেশ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতেও তাঁরা আবেদন জানান। মন্ত্রীদের কাছ থেকে একথা শোনার পর তৎপরতা নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি মুখ্যসচিবকে মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনই কিছু জেলার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন