সংসদ নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে ৬ জনকে। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের আধিকারিকরা সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও দুই সন্দেহভাজনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। ধৃত অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা।
এর মধ্যে ব্যাঙ্গালোরের এক ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করা হয়েছে এবং উত্তরপ্রদেশের জালাউনের একজনকেও দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সংসদ ভবন মামলায় পুলিশের তদন্তে আরও দুই সন্দেহভাজনের নাম উঠে আসছে।
বেঙ্গালুরুতে আটক ইঞ্জিনিয়ার, ইউপিতেও জিজ্ঞাসাবাদ
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা কর্ণাটকের বাগলকোট শহর থেকে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করেছে। তার নাম সাই কৃষ্ণ। তার বাবা একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। সাই মনোরঞ্জনের বন্ধু বলেই জানা গিয়েছে । বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে দিল্লিতে আনা হয়।
এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের জালাউনের অতুল কুলশ্রেষ্ঠ নামে এক ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। উভয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং সংসদ মামলায় তাদের যোগসাজশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা লঙ্ঘনে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায়, দুই ব্যক্তি - সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি - জিরো আওয়ারের সময় দর্শক গ্যালারি থেকে হাউসের ওয়েলে ঝাঁপ দেন এবং এই সময় ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া ছাড়েন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। তারা দুজনই পরে কয়েকজন সাংসদের হাতে ধরা পড়েন।
একই সময়ে, অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী নামে দুই ব্যক্তি সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেন। 'স্বৈরাচার চলবে না'-এর মতো স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান। চারজন ছাড়াও, পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াতকেও গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।