তেইশে দেশের ৯ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সবকটিতেই জিততে হবে, এমনই কড়া নির্দেশ জে পি নাড্ডার। দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তেইশের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সোমবার বৈঠকে নাড্ডার কড়া হুকুম, দলের সব নেতা-নেত্রীদের কোমর বেঁধে নামতে হবে। যাতে ৯টি রাজ্যেই জয়ী হয় পদ্মশিবির। তাহলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিকের রাস্তা আরও মসৃণ হবে।
এই ৯টি রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, ত্রিপুরায় বিজেপিরই সরকার আছে। আর নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে জোট সরকার। বৈঠকে উপস্থিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, নাড্ডাজি নেতৃত্বকে বলেছেন, সবরকম ভাবে ৯টি রাজ্য জয়যুক্ত হওয়ার জন্য সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কোমর বেঁধে কর্মীদের মাঠে নামতে হবে। যাতে কোনও ভাবে একটি নির্বাচনেও দল না হারে।
নাড্ডা বৈঠকে জানিয়েছেন, গুজরাটে বাইশে যেভাবে বিপুল আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেই মডেলে বাকি রাজ্যগুলিতে ভোট করাতে হবে কর্মীদের। ঐতিহাসিক জয় চাই। প্রধানমন্ত্রী সামনে থেকে নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে রাজ্য সংগঠন, নেতা-কর্মীরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমন জয় এনে দিয়েছে। বুথ স্তরে কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছিল দল। সেই ফলই চাই ৯ রাজ্যের নির্বাচনে।
আরও পড়ুন ভাগবতবাণীতে যেন ভোটের বাদ্য, লক্ষ্য লোকসভা, হিন্দুত্ববাদেই সুর চড়াচ্ছে সঙ্ঘ
হিমাচলের উদাহরণ টেনে নাড্ডা নেতা-কর্মীদের বলেছেন, গুজরাটের উল্টো ফল হয়েছিল সেখানে। নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা ইস্যুকে মোকাবিলা করতে পারেনি। বিদ্রোহীরা দলের স্বার্থ দেখেনি। তিনি বলেছেন, "হিমাচলে বিজেপি-কংগ্রেসের পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতায় আসা এই চক্রটা ভাঙতে পারেনি কর্মীরা। এক শতাংশেরও কম ভোট মার্জিনে হিমাচল হারিয়েছে বিজেপি। মাত্র ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস হিমাচল ছিনিয়ে নিয়েছে। এটা খুশির বিষয় হলেও আমাদের নিজেদের ঠিক করতে হবে।"