তৃণমূল নেতা মহুয়া মৈত্র সোমবার সংসদের নীতি কমিটির রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে নীতি কমিটি। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পিছনে যুক্তি হল, মহুয়া মৈত্র 'তাঁর লোকসভার বাইরের লোকেদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যাতে সংসদের অবমাননা হয়েছে। তাঁর ইমেল এবং পোর্টালের আইডি আর পাসওয়ার্ড একজন অননুমোদিত ব্যক্তিকে দিয়েছেন। যা, জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে।'
অভিযোগের পিছনে জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের চিঠি
আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের কাছে অভিযোগে বলেছিলেন যে তিনি মহুয়া মৈত্র ও তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধু দর্শন হিরানন্দানির মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথন শুনেছেন। জয়ের দাবি যে হিরানন্দানি মৈত্রকে বলেছিলেন যে করেই হোক গৌতম আদানিকে নীচু করে দেখাতে। হিরানন্দানির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল না, বলেই জয় জানিয়েছিলেন। জয়ের দাবি, দুবে একজন নীতিবাদী সাংসদ। সেই কারণে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই অভিযোগের জবাবে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, অনেকে জয়কে বড় আইনজীবী বলে দাবি করলেও, তিনি তা নন। তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল যে তিনি মহুয়া মৈত্রের প্রেমিক। তিনি জানান, জয়ের সঙ্গে তাঁর কুকুর নিয়ে গন্ডগোল, সেই কারণে জয় এইসব অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন- মতাদর্শের লড়াইয়ে ফের জয় বিজেপির, এবার কী?
বিরোধী সদস্যদের বক্তব্য
বিরোধী সদস্যরা তার প্রেক্ষিতে নীতি কমিটিকে জানিয়েছিলেন, গোটা গন্ডগোল আসলে একটি কুকুর নিয়ে। তৎকালীন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি কমিটির প্রধানকে বলেছিলেন, 'এই বিরোধ একটি কুকুর নিয়ে। এটি একটি পোষা কুকুর সম্পর্কে। যা নিয়ে এফআইআরও হয়েছে। একটি কুকুর নিয়ে বিরোধ চলে এসেছে এথিক্স কমিটির কাছে। এই নিয়ে আলোচনা করতে আমরা লজ্জিত।' এর পরেই, কমিটির অপর সদস্য এবং এখন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী, কংগ্রেসের উত্তমকুমার রেড্ডি একই কথা বলেন। কংগ্রেসের পুদুচেরির সাংসদ বৈথিলিঙ্গম ভিইও বলেন, 'আমাদের সংসদীয় কমিটি কুকুরের ব্যাপার নিয়ে কাজ করছে। এটাই আমাদের কমিটির ভাগ্য।' যে কুকুরের নাম হেনরি। তার অধিকার নিয়ে মহুয়া মৈত্র এবং তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় দেহদ্রাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে কমিটির কাছে। যদিও বিজেপি সদস্যরা এই দাবি মানতে চাননি।