আফগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে তিনি রয়েছেন ইডি হেফাজতে। দিল্লির মানুষের চিন্তায় ঘুম উড়েছে জেলবন্দী কেজরিওয়ালের। ইডি হেফাজত থেকেই তিনি প্রথম আদেশ জারি করে বলেছেন, 'পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের ট্যাঙ্কার মোতায়েন করার কথা, যাতে দিল্লিতে কোনও জলের অভাব না হয়'।
আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতীশি রবিবার ইডি হেফাজতে থাকাকালীন দিল্লি সরকারের জল দফতরকে বিশেষ নির্দেশ জারি করা প্রসঙ্গ তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ইডি হেফাজত থেকেও আমাকে (জলমন্ত্রী) এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দেখে আমার চোখে জল চলে আসে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও দিল্লির মানুষের জন্য প্রাণ কাঁদছে কেজরিওয়ালের। তিনি এমনই একজন যিনি জেলবন্দী থেকেও দিল্লির জনগণের কথা ভাবছেন,”। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, 'গ্রীষ্মও আসছে এবং বেশ কয়েকটি জায়গায় জলের সমস্যা এখন থেকেই দেখা দিতে শুরু করেছে। কীভাবে তার সমাধান করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল'।
'কেজরিওয়াল দিল্লির মানুষকে শুধু ভোটার নয়, নিজের পরিবার মনে করেন'
দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতীশি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে দিল্লির মানুষ শুধু তার ভোটার নয়, তিনি দিল্লির মানুষকে তার পরিবারের মতো মনে করেন। এই কারণেই এত কঠিন পরিস্থিতিতে থাকা সত্ত্বেও তিনি তার পরিবার অর্থাৎ দিল্লির মানুষের কথা ভাবছেন।
শরৎ রেড্ডি চাপে পড়ে নিজের বক্তব্য পাল্টেছেন: আপ
আম আদমি পার্টি বলছে যে শরৎ রেড্ডি, যাকে ED আফগারি দুর্নীতি মামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে গ্রেফতার করেছিল, তিনি আগে বলেছিলেন যে তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিনি চেনেন না। কিন্তু জামিন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরৎ রেড্ডির বক্তব্য পালটে যায়। সরকারি সাক্ষী হয়ে ওঠেন। শরৎ রেড্ডির একই বক্তব্যের ভিত্তিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতীশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইডিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন যে মদ কেলেঙ্কারিতে যে বিপূল পরিমাণ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। তার ভিত্তিতে বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গ্রেফতার করা উচিত।
জেপি নাড্ডাকে গ্রেপ্তারের দাবি
বিজেপির অ্যাকাউন্টে দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির প্রায় ৬০ কোটি টাকার নির্বাচনী বণ্ডের মাধ্যমে গিয়েছে বলে দাবি করে আম আদমি পার্টি বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গ্রেফতারের দাবি করেছে। দিল্লির মন্ত্রী অতীশি বলেছেন যে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি এবং মদ ব্যবসায়ী শরৎ রেড্ডির মধ্যে আর্থিক যোগসূত্র-র বিষয়টি দেশের মানুষের সামনে এসেছে। দিল্লি আফগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আগে শরৎ রেড্ডি বিজেপিকে ৪.৫ কোটি দিয়েছিলেন এবং গ্রেফতারের পরে তিনি ৫৫ কোটি টাকা দেন বলেও দাবি করেছে আপ।
আরও পড়ুন : < Congress Candidates List: প্রবীণেই আস্থা কংগ্রেসের, মোদীর বিরুদ্ধে কাকে ‘তুরুপের তাস’ করল দল? >