শেষ পর্যন্ত দেখা মিললো সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। নিজের সংসদীয় এলাকা ভদ্রেশ্বর সারদা পল্লীর বাসিন্দা মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায় ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফেরায় তাঁর সঙ্গে এদিন দেখা করেন লকেট।
Advertisment
গত লোকসভায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হুগলি থেকে চমকপ্রদ জয় পেয়েছিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ে। ছিলেন রাজ্যের মহিলা মোর্চার নেত্রীও। গেরুয়া দলের যেসব নেতা-নেত্রীদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনে দেখা যেত, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুখ। এর মধ্যেই এসে পড়ে একুশের বিধানসভা ভোট।
একুশের ভোটের আগে বাংলা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিল বিজেপি। স্লোগান উঠেছিল, 'ইস বার, দোশো পার'। সেই সময়ও দলের হয়ে লকেটকে যথেষ্ট দায়িত্ব নিতে দেখা গিয়েছিল। প্রার্থী হয়েছিলেন চুঁচুড়া থেকে। প্রচারে চষে বেড়িয়েছিলেন প্রাচীন জনপদের অলিগলি। যদিও ভোটের ফলে ধরাশায়ী হয় বিজেপি। হেরে যান লকেটও। যার রেশ পড়ে সংগঠনে।
এরপর বঙ্গের পদ্ম শিবিরে আদি-নব্য টানাপোড়েন প্রকট হয়। বাংলা ভাগ নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় মুরলীধর সেন লেনের নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন হুগলির সাংসদ।
তারপরই আর তেমন দেখা যাচ্ছিল না লকেটকে। পরে উত্তরাখণ্ডের ভোটে সংগঠনের কাজের জন্য পাঠানো হয় বাংলার এই সাংসদকে। কিন্তু, নিজের নির্বাচনী এলাকার চন্দননগর পুরনিগম বা পুরসভা ভোটে দলের হয়ে লকেটকে দেখা যায়নি। এবারও হেরেছে বিজেপি। তারপর ফিরলেন লকেট।
কেন দলের হয়ে প্রচারে দেকা গেল না তাঁকে? লকেটের সাফ জবাব, 'আমি দলের কাজেই উত্তরাখণ্ডে ছিলাম।' সেই ভোট তো আগেই শেষ হয়েছিল, তখন আসেননি কেন? সাংসদ বলেন, 'ভোটের পরও বেশ কিছু দলীয় কাজ ছিল। তাই আসা হয়নি।' অবশ্য পুরযুদ্ধে দলেই এই ধরাশায়ী অবস্থার জন্য শাসক দলের সন্ত্রাসকে দায়ী করেছেন সাংসদ।
লকেটের অবস্থানই যেন রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরের ছবিটা আরও প্রকট করছে। মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।