২০১৪ সালে বিজেপির ব্যাপক জয় ছিল ইভিএম হ্যাক করে, এ কথা যিনি বলেছিলেন, সেই সাইবার বিশেষজ্ঞর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে অনুরোধ করল নির্বাচন কমিশন। এ মর্মে অনুরোধ পাঠানো হয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে।
নির্বাচন কমিশন তাদের চিঠিতে লিখেছে, সৈয়দ শুজা এ কাজের মাধ্যমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০(১) ধারানুসারে গুজবের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে কমিশন জানতে পেরেছে, (লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে) সৈয়দ শুজা দাবি করেছেন, তিনি ইভিএম ডিজাইনিং টিমের সদস্য ছিলেন এবং তিনি ভারতের নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম হ্যাক করতে পারেন।
এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি। রাহুলদের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে তারা বলেছে, আসন্ন লোকসভা ভোটে নিশ্চিত হারের অজুহাত খুঁজতে শুরু করেছে কংগ্রেস।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিল ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, যার মাথায় বসে আছেন আশিস রায় নামের একজন একনিষ্ঠ কংগ্রেসকর্মী যিনি সর্বদাই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর গুণগান গেয়ে থাকেন।”
ওই অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেছেন, “সিবাল ওখানে কী করছিলেন? কী হিসেবে উনি ওখানে উপস্থিত ছিলেন? আমি অভিযোগ করছি যে উনি কংগ্রেসের কর্মসূচির দেখভাল করতে ওখানে গিয়েছিলেন। ভারতীয় গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করতে এ ছিল কংগ্রেস স্পনসর্ড ষড়যন্ত্র।”
বিজেপি-র প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সিবাল। তিনি জানিয়েছেন, আশিস রায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। “ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন লন্ডনের প্রেসিডেন্ট আশিস রায় আমাকে জানিয়েছিলেন যে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশনকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উনি আমাকে একটি ব্যক্তিগত ই-মেলও পাঠিয়েছিলেন। আমি জানিয়েছিলাম যে ব্যক্তিগত কাজে সে সময়ে আমি লন্ডনে থাকব। তখন উনি আমাকে ওই অনুষ্ঠানে সাড়া জাগানো এক সত্যের উদ্ঘাটন হবে বলে জানিয়ে পীড়াপীড়ি করতে থাকায় আমি রাজি হয়ে যাই।”