একদিকে লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা চলছে, অন্যদিকে সমানতালে চলছে দলবদলের পালা। শনিবার রাজ্যে প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় জঙ্গীপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মাফুজা খাতুনের নাম ঘোষণা হয়েছে। সেই সময় আলিপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাগৃহে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন সিপিএমের অবিভক্ত বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর প্রাক্তন সদস্য আইনুল হক। দীর্ঘদিন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সিপিএম তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করেছিল।
অন্যদিকে ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালও এদিন বিজেপিতে নাম লেখালেন। সূত্রের খবর, লোকসভার প্রার্থী হিসাবে এদের নাম বিবেচনা করছে গেরুয়া শিবির। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৪ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে।
বিজেপিতে যোগ দিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল
একদা দাপুটে নেতা আইনুল নিরুপম সেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সিপিএম থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর গুঞ্জন উঠেছিল যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, তখন এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমানে বিবাদমান দুই শিবির একযোগে দলীয় স্তরে বাধা দেয়। তারপর বিজেপিতে যোগের সম্ভাবনা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছিল। মাঝে বিষয়টি থিতিয়ে গিয়েছিল। শনিবার জাতীয় গ্রন্থাগারে সাংগঠনিক সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেন আইনুল হক। তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘ বছর। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন আইনুল।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে আইনুল হক বলেন, "দেশের যা অবস্থা তাতে ভারতীয় জনতা পার্টির বিকল্প নেই। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাই।" তাঁর বক্তব্য, "২০০৯ সালে বাংলার মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিলেন। পরিবর্তন হয়েছিল। কিন্তু এই রাজ্য শিক্ষা-স্বাস্থ্যে পিছিয়ে পড়েছে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, বেকারত্ব বাড়ছে। সমস্ত বিষয়ে বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন চান নি বাংলার মানুষ। ফের বাংলা পালাবদল চাইছে। সেই পালাবদলের সৈনিক হিসেবে আমি লড়তে চাই।"