নিজের অবসর গ্রহণের সময়সীমার চার মাস আগেই পদ ছেড়ে জেডি (ইউ) শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কেবলমাত্র বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। কিন্তু বিজেপির ঘোষিত তালিকায় টিকিট পাননি বিহারের প্রাক্তন ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পান্ডে। সুশান্ত সিং মৃত্যু তদন্তের বিষয়ে মন্তব্য করে প্রচারে এসেছিলেন এই অফিসার।
নিজের শহর বক্সার থেকেই প্রতিদ্বন্ধিতা করার কথা ছিল গুপ্তেশ্বর পান্ডের। এনডিএ-এর সঙ্গে আসন রফায় এই সিটটি বিজেপির কোটায় চলে যায়। সূত্রের খবর, জেডি (ইউ) বক্সারের এই আসন নিয়ে বিজেপিকে তেমন কোনও চাপও দেয়নি। এমনকী বক্সারের আসন নিজেদের কাছে রেখে অন্য আসন রফাও করেনি, যেমনটি প্রাক্তন মন্ত্রী দামোদর রাওয়াতের জন্য ঝাঁঝর থেকে করা হয়েছে।
এনডিএ-এর এক সূত্র বলেন, "অন্য অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি (হোম গার্ড) সুনীল কুমারের মতো নন গুপ্তেশ্বর পান্ডে। সুনীল কুমার খুব সহজেই জেডি (ইউ) এর টিকিট পেয়েছিলেন। পান্ডে প্রথম থেকেই সবকিছু নিয়ে খুব সোচ্চার ছিলেন। খুব শীঘ্রই একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হওয়ার লক্ষ্যই এই সুযোগ কেড়ে নিল।"
আরও পড়ুন, বিজেপির টিকিটে ‘না’! আচমকাই বিরোধী শিবিরে যোগ দিলেন নেতারা
সূত্র জানায়, সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় পান্ডে “খুব জোরালো মন্তব্য করে ফেলেছিলেন” এবং টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাতে আঘাত হানতেও দ্বিধা বোধ করেননি। এক অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার বলেন, “বিহারের কোনও মন্ত্রী বা এনডিএর কোনও রাজনীতিবিদ বিহার সরকারের পক্ষে আগ্রাসীভাবে কথা বলেননি। তিনি একজন রাজনীতিবিদের মতো আচরণ করছিলেন তবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবধারার জন্য এটি সঠিক মনে হয়নি। ২০০৯ সালে বক্সার থেকে বিজেপির টিকিট পাওয়ার জন্য পান্ডেকে ভিআরএস নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলাম। তবে তিনি শোনেননি এবার।"
যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ গুপ্তেশ্বর পান্ডে। তিনি বলেন, “এটা সত্য যে আমি ভিআরএস নিয়েছিলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। কিন্তু সমীকরণ আর হিসেবটা মিলল না। আমি জেডি (ইউ) এর অনুগত সেনা। বিজেপিও যদি আমাকে এই নির্বাচনে প্রচার করতে দিতে চায় তবে আমি তা করতাম।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন