একাধিক প্রভাবশালী বাদেও নিস্তার নেই, দাক্ষিণাত্যে বড় বিপদে বিজেপি, এবার দল ছাড়ার পথে উপমুখ্যমন্ত্রী

বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার পদ্মশিবির।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার পদ্মশিবির।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Modi_Nadda_Amit

প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদিকে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেনি দল। সেই ক্ষোভে তিনি বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। এক সাংবাদিক বৈঠকে সাভাদি জানিয়েছেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করব।' বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আর, শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করবেন বলেই সাভাদি জানিয়েছেন।

Advertisment

আথানি থেকে তিনবার বিধায়ক হয়েছেন সাভাদি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী মহেশ কুমাথাল্লির কাছে হেরে গিয়েছিলেন। কংগ্রেসের আরও অনেকের সঙ্গে কুমাথাল্লি পরে বিজেপিতে যোগ দেন। আর, কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট সরকারের পতন ঘটাতে এবং ২০১৯ সালে বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পার অধীনে সরকার গঠনে কুমাথাল্লি সহায়তা করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে দল কুমাথাল্লিকেই টিকিট দিয়েছে। এই কুমাথাল্লি আবার সাভাদির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি বিধায়ক রমেশ জারকিহোলির ঘনিষ্ঠ সঙ্গীও।

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার বিজেপি কর্ণাটক নির্বাচনের প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে। আগামী ১০মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। প্রার্থীতালিকায় ৫২টি নতুন মুখ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি দলের পুরোনো নেতা-কর্মীদের হতাশ করে বেশ কিছু বড় নাম প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে ভাঙাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই সাভাদির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যার জেরে কর্ণাটকের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে সাভাদি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার অবশ্য জানিয়েছেন যে, সাভাদি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই শিবকুমারকে উদ্ধৃত করে বলেছে, 'তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।'

Advertisment

আরও পড়ুন- ছাত্রীদের জঙ্গি বলে হিজাব বিতর্ক উস্কে দেন, সেই নেতাকেই ভোটের টিকিট দিল বিজেপি

তবে শিবকুমার যাই বলুন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার কর্ণাটক বিজেপি। পরিস্থিতি সামলাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করতে পারেন বলেই শোনা যাচ্ছে। সেটা না-হলে, অচিরেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের ঢল নামবে দক্ষিণের এই রাজ্যে। এমনটাই মত রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশের।

CONGRESS Election bjp