ঘোরতর অস্বস্তিতে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালাকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল্লির আদালতের। একইসঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চৌতালাকে। কারাদণ্ড-জরিমানা নির্দেশের পাশাপাশি এদিন সিবিআই আদালতের বিচারক বিকাশ ধুল বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের চারটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisment
এই মামলার শুনানির সময় এদিন চৌতালার আইনজীবী তাঁর বয়স ও একাধিক শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়ে সবচেয়ে কম সাজার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যদিও সিবিআই আইনজীবী চৌতালার আইনজীবীর সেই অনুরোধের প্রবল বিরোধিতা করেন। শুধুমাত্র শারীরিক পরিস্থিতি এবং বয়সের ভিত্তিতে চৌতালাকে ছাড় দিলে সমাজে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে বলে আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিবিআই আইনজীবী। বরং হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সাজা হলে সমাজেও এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে একটি বার্তা দেওয়া যাবে বলে এদিন আদালতে সওয়াল করেছেন সিবিআই আইনজীবী।
সিবিআইয়ের মতে, ''এই মামলায় এই ব্যক্তি একজন পাবলিক ফিগার। তাঁকে ন্যূনতম শাস্তি দেওয়া হলে একটি ভুল বার্তা যাবে। তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই। এটি হল দ্বিতীয় মামলা যেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।'' সিবিআইয়ের অভিযোগ, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাতবারের বিধায়ক ওমপ্রকাশ চৌতালা ৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ওমপ্রকাশ চৌতালার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির তদন্তে নামে সিবিআই। ২০১০ সালের ২৬ মার্চ সিবিআই চৌতালার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
সেই মামলাতেই চৌতালাকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই বিশেষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, ওমপ্রকাশ চৌতালার আয়ের চেয়েও ১০৩ শতাংশ বেশি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁর সম্পত্তির সাপেক্ষে উপযুক্ত প্রমাণও দিতে পারেননি তিনি।
এরপরেই ভারতীয় দণ্ডবিদির নির্ধারিত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালাকে। এর আগে ২০১৩ সালে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতেও সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবার দ্বিতীয়বারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন চৌতালা।