Advertisment

বিজেপিতে বজ্রপাত! কর্ণাটকে ভোটের মুখে দলত্যাগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কংগ্রেসে যোগদান

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, এই যোগদানে দল ১৫০ আসন পাওয়া নিশ্চিত করল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
No date for bypolls in Wayanad by Chief Election Commissioner

আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে, সোমবার ১৭ এপ্রিল বড় আঘাত নেমে এল বিজেপির শিবিরে। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সদলবলে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। যোগদানকারী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার ছয় বারের বিজেপি বিধায়ক। শুধু তাই নয়, কর্ণাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর ব্যাপক প্রভাবও রয়েছে। এর আগে অতি সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন লিঙ্গায়েতদের অপর নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভারি।

Advertisment

এই সাভারিকে দল এবার টিকিট দেয়নি। তারপরই ক্ষোভে সাভারি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দিয়েছেন। তবে, সাভারির চেয়েও শেট্টার দল বদলানোয় বড় আঘাত লেগেছে বিজেপির। কারণ, শেট্টার বিজেপিতে আরএসএস থেকে এসেছিলেন। আর, আরএসএস হল বিজেপির পরামর্শদাতা সংগঠন। তারপরও মধ্য হুবলি ধারওয়াদ কেন্দ্রে শেট্টারকে এবার টিকিট দেয়নি দল। তারপরই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের হাত ধরে শেট্টার সোমবার সকালে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।

শেট্টারের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে বিজেপি যা আচরণ করেছে, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি গেরুয়া শিবির ছাড়লেন। শেট্টারের কংগ্রেসে যোগদানের পর খাড়গে জানিয়েছেন, তাঁর অন্তর্ভুক্তি কর্ণাটকে কংগ্রেসের ১৫০ আসন পাওয়া নিশ্চিত করল। এই ব্যাপারে খাড়গে বলেন, 'বিজেপি ভেঙে কংগ্রেসে ভিড় বাড়ানো তাঁর লক্ষ্য না। তিনি চান, ১০মে-এর নির্বাচনে যতটা বেশি সম্ভব আসন নিশ্চিত করতে।' অনুষ্ঠানে শেট্টার বলেন, 'কর্ণাটকে যাঁরা বিজেপিকে বড় হতে সাহায্য করেছে, আমি তাঁদের অন্যতম। বিশেষ করে উত্তর কর্ণাটক অঞ্চলে তো বটেই। বিজেপি আমাকে সমস্ত সম্মান এবং পদ দিয়েছে। আমিও দলে অনুগত সৈনিক হিসেবে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি।'

আরও পড়ুন- ইডির আবেদন নামঞ্জুর, সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল নেতার জামিন

দলের প্রতি ক্ষোভের কথা জানিয়ে শেট্টার বলেন, 'আমি ছয় বারের বিধায়ক। কিন্তু, তারপরও দল আমাকে প্রবীণ নেতার মত সম্মান দেয়নি। ১১ এপ্রিল আমাকে জানিয়েছে যে এবারের নির্বাচনে টিকিট দেবে না। আর প্রাক্তন মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পাকেও দেবে না। এমনভাবে বলেছে যেন কোনও প্রথমবারের বিধায়ক বা বাচ্চা ছেলেকে কথাগুলো বলছে। তারা যদি আমাকে একসপ্তাহ আগেও কথাগুলো বলত আর কোনও দায়িত্ব দিত, আমি রাজি হয়ে যেতাম।'

CONGRESS rahul gandhi karnataka
Advertisment