আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড বা আইএমএফ) ২০১৯ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪.৮ শতাংশ করে দেওয়ার একদিন পর ভারত সরকারকে কটাক্ষ করে টুইট করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তাঁর বক্তব্য, এই পূর্বাভাসের ফলে আইএমএফ এবং তার প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ শাসক দলের মন্ত্রীদের রোষের শিকার হতে পারেন।
Advertisment
"নোট বাতিলের সময় আইএমএফ-এর চিফ ইকনমিস্ট গীতা গোপীনাথ এই পদক্ষেপের সমালোচনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। আমার মনে হয় আমাদের তৈরি থাকা উচিত আইএমএফ এবং ডাঃ গোপীনাথের বিরুদ্ধে সরকারের মন্ত্রীদের হামলার জন্য," তাঁর টুইটে লেখেন চিদাম্বরম।
আইএমএফ-এর ভবিষ্যদ্বাণীকে "রিয়ালিটি চেক" আখ্যা দিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানের ৪.৮ শতাংশ হারও "কিছু বাড়তি পোশাক পরানোর পর। এর চেয়েও কমে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই"।
ভারত এবং অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতিতে তীব্র মন্দার উল্লেখ করে সোমবার ২০১৯-এ বিশ্ব অর্থনীতির আনুমানিক বৃদ্ধির হার কমিয়ে ২.৯ শতাংশ ঘোষণা করে আইএমএফ। বর্তমান ক্যালেন্ডার বর্ষ, অর্থাৎ ২০২০-র জন্য ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১.২ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশে। উদীয়মান অর্থনীতিগুলির মধ্যে এই হ্রাসের হার সর্বাধিক, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির পূর্বাভাসের ওপরেও।
Reality check from IMF. Growth in 2019-20 will be BELOW 5 per cent at 4.8 per cent.
তাদের বিবৃতিতে আইএমএফ যা জানায়, তার মর্মার্থ হলো, "এই সংশোধিত বৃদ্ধির হার প্রধানত কিছু উদীয়মান অর্থনীতিতে, বিশেষ করে ভারতে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রতিফলন। এর ফলে আগামি দু'বছরের আনুমানিক বৃদ্ধির পুনর্মূল্যায়ন করতে হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে এই পুনর্মূল্যায়নের সময় বাড়তে থাকা সামাজিক অশান্তির প্রভাবও বিবেচনা করা হয়েছে।"
ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইএমএফ-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, ভারতে বৃদ্ধির হার দ্রুতগতিতে কমেছে ব্যাঙ্ক-বহির্ভূত আর্থিক ক্ষেত্রের ওপর চাপ, এবং গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার কারণে।