Advertisment

বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর সভায়, খোঁজ নেবেন জেলা সভাপতি

দলের একাংশের মতে, নিজেদের গন্ডগোলের জন্য আখেরে লাভ হচ্ছে বিজেপির। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই তা টের পাওয়া যাবে  বলে তাঁদের অভিমত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মঞ্চের দিক থেকে একেবারে বাদিকের কোনে বসে রয়েছেন সোনা শীল। ভাষণ দিচ্ছেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। মন্ত্রীর সভায় সোনা শীলের হাজিরা নিয়েই বিতর্ক।

হুগলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকলহ ক্রমশ বাড়ছে। এক নেতা সভা ডাকলে আর একজন হাজির থাকছেন না। আবার কোনও ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতৃত্বকে সভায় ডাকা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। এরইমধ্যে হুগলি জেলার নতুন কমিটি নিয়ে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। এবার বহিষ্কার হওয়া তৃণমূল নেতা হাজির হলেন রাজ্যের মন্ত্রীর বিজয়া সম্মেলনীতে। এই নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে হুগলির তৃণমূল নেতৃত্বে।

Advertisment

রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর ঘনিষ্ঠ সত্যরঞ্জন ওরফে সোনা শীলকে আর্থিক অনিয়ম ও দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব। সোনা শীলের সঙ্গে দলের কেউ যোগাযোগ রাখতে পারবেন না বলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন। অথচ রবিবার সাহাগঞ্জ ডানলপ মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দেখা যায় সোনা শীলকে। তিনি বাঁশবেড়িয়ার প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী। নতুন পদাধিকারী-সহ দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বও হাজির ছিলেন ওই মঞ্চে। ওই সভায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সত্যরঞ্জন শীলকে কিছু দায়িত্বের কথাও ঘোষণা করেছেন। যেখানে দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সোনা শীলকে বহিষ্কার করেছেন সেখানে দলেরই এক মন্ত্রীর সভায় কী করে হাজির হলেন, এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দলের অভ্যন্তরে।

এই প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি দিলীপ যাবদ বলেন, "বিষয়টা সংবাদ মাধ্যম মারফত শুনেছি। সাংগঠনিক ভাবে খোঁজ খবর নেব।" এদিকে যাঁর সভায় হাজির ছিলেন সেই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, "আমি একটা বিজয়া সম্মেলনীতে গিয়েছিলাম। কেউ যদি বহিস্কার হয়ে যায়, তারপর সে পাবলিক মিটিংয়ে গেলে কে আটকাবে। বিজয়া সম্মেলনীতে গিযেছে আমি কী করব?" হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নানা ঝঞ্ঝাটে জড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে একাধিক গাড়ি নিয়ে শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেছে এই জেলায় দলের একাংশ।

হুগলি তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে মাথাব্যাথার শেষ নেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। এর আগে জেলা কমিটি ঘোষণা করতে গিয়ে হোচোঁট খেতে হয়েছিল। শীর্ষ নেতৃত্বের এক ফোনেই জেলা কমিটির তালিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টচার্যও বিদ্রোহী হয়েছেন। তিনিও দল ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। দলের একাংশের মতে, নিজেদের গন্ডগোলের জন্য আখেরে লাভ হচ্ছে বিজেপির। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই তা টের পাওয়া যাবে  বলে তাঁদের অভিমত।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc
Advertisment