Bhabanipur By-Poll: বড় কোনও বিপর্যযয় ছাড়া উপনির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থী পরাজিত! এমন নিদর্শন গত এক দশকে দেখেনি বঙ্গ রাজনীতি। তাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে ‘দিদি’র নিশ্চিত ধরেই এগোচ্ছে তৃণমূল শিবির। একুশের বিধানসভা ভোটে এই আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন প্রায় ২৯ হাজার ভোটে। উপনির্বাচনে সেই ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে নেবেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গ্রহণের দিন থেকেই এই দাবি করে আসছে শাসক শিবির।
তাদের দাবি, অন্তত ৩০-৩৫ হাজারের ব্যবধানে নিকটতম প্রার্থী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে হারাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের এই দাবি খণ্ডন করেনি বিজেপি। কারণ ভবানীপুরে কম ভোটদানের হার থেকেই খানিকটা ইঙ্গিত মিলেছে ফল কী হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল ৫৩.৩২%, ভোটদান শেষ অবধি অর্থাৎ সন্ধ্যা ছ’টা অবধি মোট ভোট পড়েছে ৫৭%-এর কিছুটা বেশি। এতেই ময়দান ছেড়েছে ‘হতাশ’ বিজেপি। মানুষকে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত না নিয়ে আসতে পারার ব্যর্থতা গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের ঘাড়েই চেপেছে। ভবানীপুরের যে অবাঙালি বেল্ট, তারাও উদ্যোগ নিয়ে বুথমুখী হয়নি। এমন দাবি করেছে পদ্মশিবির।
তাদের মন্তব্য, বিজেপি প্রার্থীর প্রচারের সময় যে প্রভাব শাসক দলের উপর পড়েছিল, ভোটের দিন তার এক শতাংশ ফেলা যায়নি। ফলে দাপটের সঙ্গে ভোট করিয়েছেন শাসক দলের ম্যানেজাররা। সেদিন বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরে সে ভাবে বিজেপির পতাকা খুঁজে পায়নি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি।
তিনি শুধু পদ্মশিবিরের প্রার্থীকে এক বুথ থেকে অন্য বুথে দৌড়তেই দেখেছেন। ব্যাস ওইটুকুই। ভবানীপুরে সেভাবে চোখে পড়েনি বিজেপির ক্যাম্প অফিসও। তাও একটু খুঁজে সিপিএম-র ক্যাম্প অফিস চোখ পড়েছিল ভোটের দিন।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর গোটা ভোট যজ্ঞে বিজেপির সাফল্য বলতে, ভুয়ো ভোটার ধরা। বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা, ভবানীপুরে ‘ভোট’ দিতে এসে ধরা পড়ে যান। আর এতেই ভোটে কারচুপির অভিযোগে সরব বিজেপি। ৩ অক্টোবর ফল ঘোষণার পর এই কারচুপিকে ঢাল করে আক্রমণ শানাবে বিজেপি। মুরলিধর সেন লেন সূত্রে এমনটাই খবর।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার শুধু ভবানীপুর নয়, ভোট হয়েছে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। এই দুই আসনেও খুব একটা আশাপ্রদ ফল সম্ভবত করবে না বিজেপি। নেপথ্যে মুর্শিদাবাদে বুথস্তরে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা। তাই আগামিকাল ব্যালট বাক্স খোলার পর থেকে তৃণমূলের পক্ষেই ৩-০ ফল থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই মানসিকতায় ভোর করেই গণনা কেন্দ্রে যাবেন বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টরা।
যদিও দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘রবিবার দলীয় প্রার্থী ৫০ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকলেও, গণনার শেষ দেখে ভোট কেন্দ্র ছাড়ুন।‘ উপনির্বাচনের এই ভরা মরশুমে শাসক লকে একদম ফাঁকা জমি না ছাড়তেই রাজ্য সভাপতির এই নির্দেশ। এমনটাই পদ্মশিবির সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন