এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে বাংলার ট্যাবলোর প্রদর্শনীর অনুমতি মেলেনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছন। যদিও ট্যাবলো নির্বাচনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকে না বলে সাফাই এবার খোদ মোদী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নির্মলা সীতারমনের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ট্যাবলো নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন শিল্প, কলা ও সংস্কৃতির বিষয়ে পারদর্শী বিশিষ্ট কয়েকজনকে নিয়ে তৈরি একটি কমিটি। কোন ট্যাবলোর প্রদর্শন হবে তা তাঁরাই ঠিক করেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে এবছর পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর প্রদর্শনী হবে না দিল্লির অনুষ্ঠানে। ট্যাবলোর অনুমোদনই মেলেনি। যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার রাজ্য সরকার। এবছর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবনের নানা কাহিনী তুলে ধরে ট্যাবলো সাজিয়েছিল রাজ্য। দিল্লির অনুষ্ঠানে বাংলার ট্যাবলোর অনুমোদন না মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ট্যাবলোর অনুমোদনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখতে মোদীকে আবেদন জানিয়েছেন মমতা।
গতকাল বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ও বাংলার ট্যাবলোকে দিল্লির রাজপথে প্রদর্শনের অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছেন। টুইটে প্রাক্তন রাজ্যপাল লিখেছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, অনুগ্রহ করে প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসবে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোকে অনুমতি দিন। এতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্বের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। নেতাজির সংগঠন আইএনএ ব্রিটিশ বাহিনীর বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেয়। তাদের দ্রুত দেশ ছাড়তে বাধ্য করে।”
ট্যাবলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের। তিনি টুইটে লিখেছেন, ''রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি প্রতি বছর #RepublicDay সারণীর জন্য প্রস্তাব পাঠায়। প্যারেডের সময়কাল সীমিত। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি বাছাই পর্বে কাজ করে। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এমন ৫৬টি প্রস্তাব পেয়েছে। যাদের মধ্যে ২১টি বাছাই করা হয়েছে।''
টুইটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ''২০১৮ ও ২০২১-এ কেরলের ট্যাবলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে তামিলনাড়ুকে নির্বাচন করা হয়েছিল। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোকে নির্বাচন করা হয়েছিল। এবছর সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ট্যাবলোতেও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন কাহিনী রয়েছে। এমন একটি প্রদর্শনে খারাপ রাজনীতি দেখা বন্ধ করুন।''