/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/12/amit-shah-7.jpg)
অমিত শাহ। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
উনিশের যুদ্ধে লড়তে আঁটঘাট বেঁধে ফেলল গেরুয়াবাহিনী। লোকসভা ভোটে বিরোধীদের টেক্কা দিতে এবার রাজ্যস্তরে ঘুঁটি সাজানোর কাজ শুরু করে দিলেন মোদী-অমিত শাহরা। লোকসভা ভোটের তদারকিতে ১৭টি রাজ্যের নেতৃত্বকে ঢেলে সাজাল বিজেপি। ২০১৯ সালকে পাখির চোখ করে ১৭টি রাজ্যে দলের নেতৃত্বের মাথায় বসানো হল শীর্ষনেতাদের। ব্যালট বাক্সে বিরোধী ঐক্যকে রুখতে অমিত শাহদের এমন তৎপরতা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উত্তরপ্রদেশে মোদী বাহিনীকে রুখতে ভোট বাঁটোয়ারায় হাত মিলিয়েছে সপা ও বসপা। এহেন প্রেক্ষাপটে যোগীরাজ্যকে একটু বেশিই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন অমিত শাহরা। সে রাজ্যে তিনজন নেতাকে দলের ‘ইনচার্জ’ হিসেবে নিয়োগ করেছে পদ্মশিবির। নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে গোবর্ধন ঝাড়াপিয়া, দুষ্মন্ত গৌতম ও নরোত্তম মিশ্রের কাঁধে।
আরও পড়ুন, ক্যামেরার সামনে পোজ না দিয়ে মেঘালয়ে শ্রমিকদের বাঁচান: মোদীকে রাহুল
বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি কাটিয়ে লোকসভা ভোটে হিন্দি বলয় রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া গেরুয়াবাহিনী। ওই তিন হেভিওয়েট রাজ্যের নেতৃত্বেও নজর দিয়েছে বিজেপি। রাজস্থানে লোকসভা ভোটের দায়িত্ব বর্তেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ও সুধাংশু ত্রিবেদীর উপর। মধ্যপ্রদেশে ভোট বৈতরণী পার করতে অমিত শাহদের ভরসা স্বতন্ত্র দেব সিং ও সতীশ উপাধ্যায়। অন্যদিকে ছত্তিসগড়ের দায়িত্বে অনিল জৈন। উল্লেখ্য, ওই তিন রাজ্যেই রাহুল গান্ধীদের কাছে বিধানসভা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে গেরুয়াবাহিনী।
মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ভার দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতা নলীন কোহলিকে। মোদী রাজ্যের ভার দেওয়া হয়েছে ওম প্রকাশ মাথুরকে। অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভা ভোটের দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যসভার সদস্য ভি মুরলীধরন ও দেওধর রাও। ওড়িশার ভার দেওয়া হয়েছে অরূপ সিংকে। পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ে বিজেপির ভরসা ক্যাপ্টেন অভিমন্যু। উত্তরাখণ্ডে উনিশের প্রস্তুতি জোরদার করবেন তাওয়ারচাঁদ গেহলোট। সিকিম ২০১৯ সালের ভোট পরিস্থিতি দেখভাল করবেন নীতিন নবীন। হিমাচল প্রদেশের দায়িত্ব বর্তেছে তীর্থ সিং রাওয়াতের উপর। তেলঙ্গানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরবিন্দ লিম্বাওলিকে।
Read the full story in English