Advertisment

সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল মহারাষ্ট্র, বেজায় চাপে ফড়নবিশ!

পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগে ক্ষমাও চেয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Fadnavis is under pressure

শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) সংগঠনের কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগে জালনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে শনিবার, ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর, মুম্বইয়ের লালবাগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। (পিটিআই ছবি)

মারাঠা কোটা চেয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের কারণে ক্ষমা চাইলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। নির্বাচনের আগে তাঁর এই ক্ষমা প্রার্থনা বুঝিয়ে দিয়েছে যে ফের মাথা তুলে দাঁড়ানোর ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বেগে আছে বিজেপি। মারাঠা বিক্ষোভ প্রায় পাঁচ বছর আগের ঘটনা। ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে বিজেপি বড় ধাক্কা খেয়েছিল। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বিজেপি বড় ব্যবধান নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফেরে। কিন্তু, সেই বিজেপিই মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে ক্ষমতা থেকে দূরে সরে গিয়েছিল।

Advertisment

বাধ্য হয়েই বিজেপিকে শিবসেনা এবং এনসিপির উপদল তৈরি করে একনাথ শিণ্ডে ও অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিতে হয়েছে। বিজেপি আশা করেছিল শিণ্ডে তৃণমূলস্তরে দলের একটি ভিত্তি তৈরি করবে। আর, অজিত পাওয়ারকে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের চিনি বেল্টের দলের ভিত হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, বারমতীর পাওয়ার দুর্গের কাছে জালনায় একটি মারাঠা সংরক্ষণ চেয়ে হওয়া বিক্ষোভের ওপর পুলিশি লাঠিচার্জ বিজেপির সেই আত্মবিশ্বাসকে টলিয়ে দিয়েছে। গত কয়েকদিনে সংরক্ষণ ইস্যুতে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীরা তাতে ধুয়ো দিচ্ছে। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এই ইস্যুতে জালনায় গিয়েছেন।

আরও পড়ুন- ‘ভারত’ নাম নিয়ে এত বিতর্ক! এই নামের আদৌ কোনও ভিত্তি আছে?

জালনার সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি অনুভব করেছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্যের সবচেয়ে লম্বা বিজেপি নেতা ফড়নবিশ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে নিজের মতো করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বিশেষত এই ভোটের প্রেক্ষাপটে তো বটেই। আসন্ন নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের জন্য বিজেপির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হল লোকসভার সবকটি ৪৮টি আসন এবং বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে জয়ী হওয়া। এখন সেই বিজেপি নেতাই পুলিশের জালনা পর্বে ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, দল তৃণমূলস্তরে জমি হারিয়েছে। আর, তিনটি দল বর্তমান সরকারের অংশ হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনিক দূরদর্শিতার অভাব দেখা দিয়েছে।

police Maharastra bjp
Advertisment