মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে আজ নজরে দিল্লি। ১০ দিন কেটে গেলেও জট কাটার কোনও লক্ষণ নেই। উল্টে, শিবসেনার পক্ষ থেকে অনবরত আসছে 'বিকল্পের' হুমকি। সেনা নেতারা কথা বলছেন পাওয়ারের সঙ্গে। তাই আর দেরি না করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে সোমবারই দিল্লিতে যান মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। কথা বলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে। অন্যদিকে, শিবসেনাকে সমর্থন করে এনসিপি ও কংগ্রেসও ঢুকে পড়বে ক্ষমতার অলিন্দে। যা নিয়ে আজ কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের।
জানা যায়, গত শুক্রবারই দূত পাঠিয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে সমাধানের সূত্র হিসাবে নয়া প্রস্তাব দেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। বলা হয়, মন্ত্রিসভায় পোর্টফোলিও ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ৫০-৫০ ফর্মুলা বাস্তবায়িত হবে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে একটি জায়গা ও প্রতিমন্ত্রীর বিনিময়ে তাতে রাজি হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু, ছুটির দিন বেলা বাড়তেই সেই রফা সূত্র উড়িয়ে দেওয়া হয় সেনার তরফে। উল্টে শরিকের উপর চাপ বাড়াতে ‘বিকল্প’ জোটের ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের স্বার্থে সোনিয়া-শরদের হাত ধরার কথা ভাবছে শিবসেনা
‘সামনায়’ শিবসেনা মুখপাত্র জানান 'মহারাষ্ট্রের স্বার্থে বিকল্প' জোট হতেই পারে। তিনি লেখখেন, ‘বিজেপি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে শিবসেনা সরকার গঠনের আবেদন জানাবে। সেনা কংগ্রেস, এনসিপি ও অন্যান্যদের সঙ্গে জোট হলে আসন ১৭০ হবে। এক্ষেত্রে শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ পাবে ও সরকার পরিচালনা করবে।’ পরে তিনি জানান, তিনটি দলের আদর্শ পৃথক। কিন্তু ন্যূন্যতম কর্মসূচির ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করা হবে। উদাহরণ হিসাবে অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে এনডিএ জোটের কথা তুলে ধরা হয়। এখানেই শেষ নয়, বলা হয় শিবসেনার হাতে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন থাকবে ও শিবাজী পার্কে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এদিন 'সামনায়' বড় করে লেখা রয়েছে বিজেপিকে ক্ষমতার খেলা থেকে সরাতে আজই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস ও এনসিপি। আজ রাঝ্য়পালের সঙ্গে দেকা করতে পারেন রাউত। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বৃহৎ দল হিসাবে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তিনি।
শরিক শিবসেনার দাবিকে লঘু করতে প্রথম থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু, তাতে আরও সোচ্চার ঠাকরে, রাউতরা। চাপ যে বাড়ছে তা ফড়নবীশের দিল্লি যাওয়ার ঘটনাতেই স্পষ্ট। তবে তিনি বলছেন, মহারাষ্ট্রের ক্ষরাপ্রবণ এলাকার কৃষকদের ত্রাণের জন্যই দিল্লি যাচ্ছেন। পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকের দাবি অবশ্য, 'মহারাষ্ট্রের সরকার হবে সেনা ও বিজেপি জোটই।'
Read the full story in English