'কৃষি বিলের বিরোধীতায় তৃণমূল সহ বিরোধী সাংসদরা যা করেছেন তা সঠিক।' সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির পাশাপাশি রাজ্যেও আজ থেকে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছে দলনেত্রী। তার আগে মঙ্গলবার সকালে টুইটে বিজেপিকে 'মেকি জাতীয়বাদী' বলে কটাক্ষ করা হয় তৃণমূলের তরফে। সাফ জানানো হয়, ফুটপাত থেকে সংসদ পর্যন্ত বিজেপির ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোড়া-ফুল শিবিরের লড়াই জারি থাকবে।
সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলারে এদিন লেখা হয়, 'আমাদের কৃষিভিত্তিক দেশের স্তম্ভ হলেন কৃষকরাই। সমাজের তৃণমূলস্তরের প্রতি বিজেপির অসাংবিধানিক আক্রামণ তাদের মেকি জাতীয়বাদের প্রমাণ। আমরা তোমাদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ফুটপাত থেকে সংসদ পর্যন্ত লড়াই করব।'
Farmers are the pillars of our agrarian nation. @BJP4India's unconstitutional attack on the grassroots of our society is proof of their pseudo-nationalism. We will fight your fascism from the pavement to the parliament. https://t.co/kGFWXkNnl6
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 22, 2020
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকেই দলের মহিল শাখার নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিলেন গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার। দলের ছাত্র সংগঠন এবং ক্ষেতমজুর ও কিষাণদের সংগঠনকেও পর্যায়ক্রমে পথে নামার নির্দেশ দিয়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'হিটলারের কায়দায় দেশ চালানো হচ্ছে। ফ্যাসিজম চলছে।'
কৃষি বিল দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেবে বলে দাবি করেন মমতা। বৈঠকে মমতা বলেন, “করোনা ঠেকাতে পারল না এবার দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে। দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনতে চাইছে মোদী সরকার। যেমন ১৯৪৩-এ হয়েছিল। রবিবারের ঘটনা নিন্দার যোগ্য। শুধু সাসপেন্ড নয় নিন্দা প্রস্তাবও নিয়েছে। সারা দেশের মানুষ ছি ছি বলবে। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। আলু, পেঁয়াজ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সব এসব মনিটরিং করতাম। এখন রাজ্য়ের সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে।”
আরও পড়ুন- এবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা তৃণমূলের
মমতা এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। কৃষি বিলের বিরোধীতারদেরে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন সহ আট বিরোধী সাংসদকে। আপাতত সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধর্নায় তাঁরা।সোমবার সকালে আট সাংসদদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পরই টইটে করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। জানিয়েছিলেন, 'কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করা আটজন সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং স্বৈরাচারী সরকারের মানসিকতাকে তুলে ধরছে। এরা গণতান্ত্রিক নিয়ম ও নীতিকে সম্মান করে না। আমরা মাথা নত করব না এবং সংসদ ও রাস্তায় নেমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব।'
নোটবন্দি থেকে এনআরসি-সিএএ, কররোনা মোকাবিলা- মোদী সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে গণ আন্দোলনে পরিণত করতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন