'বিজেপির বিরুদ্ধে এবার আরও বেশি সোচ্চার হব সংসদে, আমাকে অসমের পাশাপাশি বাংলার সমস্যার কথাও এবার বলতে হবে'। সোমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে এমনই মন্তব্য সুস্মিতা দেবের। রাজ্যসভার নির্বাচনে এরাজ্য থেকে তৃণমূলের সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। স্বাভাবিকভাবে তাঁর এই জয় প্রত্যাশিত ছিল।
রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব। একদা উত্তর-পূর্বের দাপুটে এই কংগ্রেস নেত্রী গত জুলাই মাসে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। রাজ্যের বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে এরপর রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করে সুস্মিতা দেবকে। সুস্মিতার মতো পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে রাজ্যসভায় এনে সংসদের উচ্চ কক্ষে বিজেপি বিরোধিতার সুর আরও চড়া করাই লক্ষ্য ছিল ঘাসফুল শিবিরের।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের ব্যস্ততার দরুণ রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। সোমবারই রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। বিজেপি প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এরাজ্য থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন সুস্মিতা দেব। সোমবার বিধানসভায় গিয়ে তিনি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে শংসাপত্র নিয়েছেন। শংসাপত্র হাতে পেয়েই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন সুস্মিতা।
দাপুটে এই রাজনীতিবিদ এদিন বলেন, “সংসদীয় রীতি মানে না মোদী সরকার। সংসদে বিরোধীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কোনও বিল নিয়ে বিতর্কও করতে দেয় না। এবার সংসদে কেন্দ্রের এই আচরণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব। অসমের পাশাপাশি বাংলার সমস্যার কথাও এবার আমাকে বলতে হবে। সংসদে তৃণমূলের অন্য সাংসদদের নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হব। আগামী দিনে রাজ্যসভায় দলের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় কাজ করব।'
আরও পড়ুন- ‘প্রাণ সংশয় হয়েছিল, আমরা নিশ্চিত অবাধ ভোট হবে না’, উপনির্বাচন স্থগিতের দাবি দিলীপের
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা দেব। সংসদীয় রাজনীতিতে সুস্মিতার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল তৃণমূল। বাংলার ভোটে তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সাফল্য পাওয়ার পর তৃণমূলের নজর এবার পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায়। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় দলের সংগঠন পাকাপোক্ত করার কাজে সুস্মিতা দেবকে কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল। দলের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ত্রিপুরা গিয়ে সেখানকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন দপুটে এই রাজনীতিবিদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন