কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া G20 দুর্নীতিবিরোধী ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন মোদী। তিনি তাঁর ভাষণে, শনিবার বলেন, যে দুর্নীতি দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করছে। তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর জিরো-টলারেন্স নীতি রয়েছে।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা জনগণের প্রতি আমাদের পবিত্র কর্তব্য’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলকাতায় G20-এর দুর্নীতি-বিরোধী ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ভাষণ দেওয়ার সময় একথা উল্লেখ করেছে। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি মেনে চলছে। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির সবচেয়ে বড় প্রভাব দেখা দেয় দরিদ্রদের ওপর। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংও সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'দুর্নীতি সম্পদের বণ্টনকে প্রভাবিত করে এবং বাজারকে বিকৃত করে।'
'দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা আমাদের জনগণের প্রতি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব'
মোদী এই ভাষণে উল্লেখ করেন G20-এ আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের লোভের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন, কারণ এটি আমাদের সত্যকে উপলব্ধি করতে দেয় না’। মোদী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা আমাদের জনগণের প্রতি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব’। বৈঠকে G-20 সদস্য, ১০টি আমন্ত্রিত দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ১৫৪-এর বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে
অর্থশাস্ত্রে কৌটিল্যের উদ্ধৃতি দিয়ে মোদী বলেছিলেন যে রাজ্যের জনগণের কল্যাণের জন্য সর্বাধিক সম্পদ বৃদ্ধি করা সরকারের কর্তব্য। এই লক্ষ্য অর্জনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমাদের গভর্নমেন্ট ই-মার্কেটপ্লেস বা GeM পোর্টাল সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা এনেছে।" প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) সম্পর্কেও কথা বলেছেন মোদী, এর অধীনে ২০১৪ সাল থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে সাহায্য করেছে বলে দাবি মোদীর ।
মোদীর গলায় পঞ্চায়েত হিংসা
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সদ্য সমাপ্ত বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস "রক্ত নিয়ে খেলেছে"। প্রধানমন্ত্রীর গলায় উঠে এসেছে বুথ দখলের অভিযোগও। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটারদের হুমকি এবং 'তাদের জীবন নরকে পরিণত করার' অভিযোগ করেছেন।