মানহানি মামলায় সুরাটের আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পরের দিনই সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেল রাহুল গান্ধির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা কংগ্রেস নেতার জন্য তো বটেই, হাত শিবিরের জন্যও বিরাট ধাক্কা। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। গণতন্ত্রের কালো দিন বলে উল্লেখ করেছে বিরোধী শিবির। এবার মুখ খুললেন স্বয়ং রাহুল। টুইট করে বললেন, "আমি ভারতের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়ছি। তার জন্য যে কোনও মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।"
শুক্রবারই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভার সচিবালয়ের তরফে চিঠি দিয়ে রাহুলকে এই দুঃসংবাদ দেওয়া হয়েছে। যাকে ঘিরে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অখিলেশ যাদব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, মল্লিকার্জুল খাড়গের মতো বিরোধী নেতা-নেত্রীরা আওয়াজ তুলেছেন এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে। এবার রাহুলও নিজের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন। নীরবতা ভেঙে তিনি জানালেন, ভারতের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়ছেন তিনি। তার জন্য সবরকম দাম চোকাতে তিনি রাজি।
আরও পড়ুন বিরাট ধাক্কা রাহুলের, আর সাংসদ নন কংগ্রেস নেতা, সদস্যপদ খারিজ করে দিলেন লোকসভার স্পিকার
বিরোধিতা ভুলে বহিষ্কৃত রাহুল গান্ধীর পাশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় বিজেপি। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর পরই তড়িঘড়ি টুইট করলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই কেবল আক্রমণের মুখে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আলো করে রয়েছে সব অপরাধীরা। কিন্তু বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ক্রমশ নীচের দিকে যাচ্ছে।’
এক লাইনের টুইটে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে অভিষেক লিখেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটির মতোই।’
গর্জে উঠেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদবও। তিনি বলেছেন, ‘এটা প্রথম নয়। বিজেপি প্রশাসন ও আইনের সহায়তায় সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতৃত্বের সদস্যপদ কেড়ে নিয়েছে। সকলকে মনে করতে বলব আজম খান, তাঁর পুত্র আজম খাঁর সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি। না পারলে সমাজবাদী পার্টির বর্তমান বিধায়কদের উপর মামলা দেওয়া হচ্ছে। এবার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর। যে ভাষা বিজেপি নেতারা প্রয়োগ করেন তার নিয়ে তদন্ত হলে বহু বিজেপি জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ হয়ে যাবে। মূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের মত বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই পরিকল্পনা করে এসব করছে বিজেপি।’