অবশেষে 'সুমতি' ফিরল বিজেপির! বাংলায় ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে কোনও বড় জনসভা-মিছিল না করার কথা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। বাম-কংগ্রেস, তৃণমূলের পর সোমবার বিজেপি ঘোষণা করল, কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জেরে এই সিদ্ধান্ত। গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে অনধিক ৫০০ জনকে নিয়ে সভা-মিছিল করবে তারা। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও বেশি জনসমাগম করা হবে না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দেরিতে হলেও সুবুদ্ধি ফিরেছে বিজেপির। তবে বাংলায় আর তিন দফা নির্বাচন বাকি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৯ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিরাট জনসভা, রোড শো সংক্রমণকে আমন্ত্রণ জানানোর শামিল। কমিশন আগেই ভিড় কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরাট রোড শো করেছেন।
পঞ্চম দফার ভোটের দিন তো আসানসোলে জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেই দিলেন, এত মানুষ দেখে তিনি আপ্লুত। নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। যার জেরে কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি। তবে ফিজিক্যাল বাদ দিলেও ভার্চুয়াল সভায় জোর দিচ্ছে বিজেপি। বাকি তিন দফার ভোটের প্রচারে ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করতে চাইছে তারা। আরও বেশি করে ভার্চুয়াল সভা করবেন বিজেপির নেতারা।
যদিও বিজেপির এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, "আমাদের তরফে অনেক আগেই বাকি তিন দফার ভোট একদিনে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কমিশনকে। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের প্রচার কমিয়ে দিয়েছি। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। এত দেরিতে বিজেপি সেটা বুঝল।" বাম নেতা মহম্মদ সেলিমও কটাক্ষ করেছেন বিজেপিকে। বলেছেন, "আমরাই প্রথম বড় জনসভা না করার ঘোষণা করেছিলাম। এতদিন পর বিজেপি সেটা বলল। এটা মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না।"
করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরাট জনসভা, রোড শো দেখে বাংলা তথা গোটা দেশেই সমালোচনার ঝড়। কটাক্ষ-নিন্দার জেরে ব্যাকফুটে বিজেপি। এই অবস্থায় সোমবার দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "দলের অভিমত, এই পরিস্থিতিতে বড় জনসভা বিপজ্জনক। মানুষের স্বাস্থ্য আগে, তাই এই সিদ্ধান্ত।"