/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/l1-4.jpg)
লকেট চ্যাটার্জী ও অর্জুন সিং
সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগে হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। সম্প্রতি ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই জন্য পুলিশ প্রশাসনকেই দায়ী করেন লকেট ও অর্জুন। তেলেনিপাড়ায় যাওয়া নিয়েও সাংসদদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। সেই সময় লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিংয়ের করা মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যার সূত্র ধরেই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ সাম্প্রদায়িক উস্কানি, সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা রুজু করেছে।
করোনা আবহেই উত্তপ্ত চন্দননগরের তেলেনিপাড়া। গত বৃহস্পতিবার এই দুই বিজেপি সাংসদ হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু জেলাশাসকের দেখা না পাওয়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিং জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসে পড়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা তেলেনিপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও, মাঝপথে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের সাক্ষাৎ পাননি বিজেপির দুই সাংসদ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাদানুবাদও হয়।
উস্কানির অভিযোগ, লকেট-অর্জুনের বিরুদ্ধে এফআইআর পুলিশের। কী বললেন হুগলির সাংসদ?
ভিডিয়ো- উত্তম দত্ত pic.twitter.com/6D5dlifZcE— indianexpress bangla (@iebengali) May 17, 2020
এ প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'সাংসদ হিসেবেই জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমার সঙ্গে কেউ দেখা করলেন না। অথচ, স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে সিপি দেখা করেছেন। আসলে তেলিনীপাড়ার ঘটনায় মাস্টার মাইন্ডকে ধরতে না পেরে কিছু নিরিহ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাতে শান্তি ফেরে তার জন্যই সিপিকে বলতে গিয়েছিলাম।' তাঁর অভিযোগ, 'এখানে রাজনীতি হচ্ছে। আমি যাতে মানুষের কাছে যেতে না পারি তার জন্যই পুলিশের এই পদক্ষেপ।'
আরও পড়ুন- শিলিগুড়িতে অশোকই, পিছু হটল নবান্ন
এরপরই শনিবার চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে বিজেপির দুই সাংসদেদর বিরুদ্ধে আইপিসি-র ১৫৩/এ, ৪৬৮, ৪৬৯,৫০৫/(২), ৫০৬,১২০/বি, ৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিংকে তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন