তাঁর সংসদীয় এলাকা জলে ডুবে। এলাকাবাসী কেমন আছে, সে নিয়ে খোঁজ খবরের বালাই নেই। উদ্ধারকাজের অংশ নেওয়া। তাঁদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া তো দূর। দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যকে বরং দেখা গেল বেশ আয়েশ করে ধোসা খেতে। কীভাবে সেই ধোসা তৈরি হয়েছে জানিয়ে খাবারের প্রশংসা করলেন। অন্যান্যদেরও বললেন একবার এসে মশলা ধোসা একটু চেখে যেতে।
বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতির এই কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের দৃশ্য ভিডিও মারফত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বভারতীয় কো-অর্ডিনেটর লাবণ্য বল্লাল জানিয়েছেন যে ভিডিওটি ৫ সেপ্টেম্বর তোলা হয়েছিল। সেই সময় বেঙ্গালুরু শহরের বেশিরভাগ অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছিল। নিচু এলাকা থেকে কীভাবে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছবেন, তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না সাধারণ বেঙ্গালুরুবাসী। তার মধ্যেই নির্দিষ্ট খাবারের দোকানের ধোসার সুখ্যাতি করে তেজস্বী সূর্যের ধোসা খাবার আহ্বান।
আরও পড়ুন- গ্র্যান্ড ক্যানোপির নীচে নেতাজি মূর্তির উন্মোচন, জেনে নিন বিস্তারিত
৪০ সেকেন্ডের এই ভিডিও তেজস্বী তুলেছেন দক্ষিণ বেঙ্গালুরু পদ্মনাভনগরের একটি ভোজনশালায়। ভিডিওয় বেশ আয়েশ করে ধোসা খেতেও দেখা গিয়েছে তেজস্বীকে। বিরোধীদের পান থেকে চুন খসলেই যাঁকে সবসময় সরব হতে দেখা যায়, বিজেপির সেই তরুণ তুর্কি নেতার এহেন আচরণ! পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তেজস্বীর পাশে দাঁড়াননি অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বরং, দলেরই একাংশ অভিযোগ করেছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তেজস্বী সূর্যর মেলামেশা অত্যন্ত কম। তিনি আসলে হ্যাশট্যাগের বা সোশ্যাল মিডিয়ার রাজনীতি করেন।
তাহলে, এমন ধরনের লোকজনকে বিজেপি জনপ্রতিনিধি কেন করেছে? যাঁরা জনগণের সঙ্গে যোগাযোগই রাখতে চান না? তাঁদের সমস্যার সঙ্গে জুড়েই থাকতে চান না? কংগ্রেসের তরফে সেই অভিযোগ জানিয়ে লাবণ্য বল্লাল টুইটে কটাক্ষ করেছেন, 'ভিডিওতো ৫ সেপ্টেম্বরের। বেঙ্গালুরু ডুবে যাওয়ার সময় তেজস্বী সূর্য ভালো নাস্তাও উপভোগ করছিলেন। কিন্তু, তিনি কি একবারের জন্যও বন্যাকবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন? বন্যা নিয়ে আদৌ একটা কথা বলেছন? তিনি কি নিজের এলাকা দক্ষিণ বেঙ্গালুরুতে আদৌ আছেন?'
Read full story in English