New Update
একটা পায়ে আঘাত তো কী হয়েছে, বাংলার লক্ষ লক্ষ মা-বোনেদের পায়ের জোরে আমি বিজেপিকে হারাব। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে ফের বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, বিজেপিকে তিনি হারাবেনই। বাংলাই পথ দেখাবে রুখে দেওয়ার। একনজরে দেখুন কী কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-
Advertisment
- যখন এখানে শুধু খুন হত কেউ আসত না। তখন আমি আসতাম। আমাদের সরকারের আমলে একটা খুন হয়নি।
- এত উন্নয়ন হয়েছে যে ঝাড়গ্রামকে মানুষ এখন জঙ্গলসুন্দরী বলে।
- লোকসভা নির্বাচনে জিতে কিছু করেছে আপনাদের জন্য? ২ বছর আগে যে জিতল, জেতার পর কিছু করেছে।
- ওরা কিছু করেনি। শূন্য করেছে। এবার ওদের শূন্য করে দিন।
- মিথ্যা কথা বলে ভোট নিয়েছে লোকসভায়। কাউকে বলেছে ৫০০ টাকা নাও। কাউকে ৫ হাজার দিয়েছে। দিয়ে বলেছে, বিজেপিকে ভোট দাও। মনে রাখবেন, ওটা বিজেপির টাকা নয়।
- আপনারা চাইলে আমি থাকব না। আপনারা আপনাদের মতো ভোট দেবেন।
- আমি চেয়েছিলাম কোভিডের টিকা সবাইকে বিনামূল্যে দেব। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী দিতে দিচ্ছেন না।
- ঝাড়গ্রামে সার্কিট ট্যুরিজম কাজ চলছে। শীঘ্রই কাজ শেষ হবে। সবাই ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, লালগড় দেখতে আসবেন।
- আগামী দিনে আপনাদের রেশন দোকানে যাওয়ার দরকার নেই। সরকার দরজায় দরজায় খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে।
- বিজেপি নেতারা এখানে মাঝে মাঝে আসেন। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসেন। তারপর আদিবাসী-তফসিলিদের বাড়িতে বসে খান। ওদের বাড়িটা ভাড়া নেন, বলে ৫ হাজার টাকা দেব।
- তাঁর বাড়িতে বসে খাবে। লোক দেখাবে। যে মা-বোনেরা রান্না করছে তাঁদের খবরটা খায় না। খায় কিন্তু হোটেলের খাবরটা। শুধু সাজিয়ে রেখে দেয়। এটা তফসিলিদের অপমান।
- আগে আমাকে সিপিএম মারত, এখন মারে বিজেপি।
একসময়ের মাও অধ্যুষিত লালগড়ে মানুষ আসতে ভয় পেত। তখন আমি লালগড়, নেতাই, ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর থেকে জামবনি- সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছি। বুধবার লালগড়ের সভায় ঝাড়গ্রাম ও বিনপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসে এভাবেই মানুষকে সম্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বাম জমানায় লাল সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে ছত্রধর মাহাতোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা। একনজরে দেখে নিন কী কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী-
- আমাদের প্রার্থী একদিকে বীরবাহা হাঁসদা। একজন অভিনেত্রী। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃতী মেয়ে। আরেকজন বিনপুরের দেবনাথ। এঁদের সমর্থনে, আবেদন করতে এসেছি।
- ছত্রধর মাহাতোকে আপনারা জানেন যে সিপিএমের সময়ে ওকে একটা মামলায় জেলে আটকে রাখা হয়। গত ১০ বছর ও জেল খেটেছে। আমি ছত্রধরের সঙ্গে এসেছিলাম গ্রামে।
- একজন বিধবা মহিলা, চিন্তামণির কান কেটে নেওয়া হয়েছিল। ৩ জন মারাও গিয়েছিলেন। ১৫ জন জখম হয়েছিলেন। ছত্রধরের সঙ্গে আমি ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। অন্যরা কেউ ঢুকতে পারেনি। একমাত্র আমি ঢুকতে পেরেছিলাম। সেদিন থেকে আপনাদের সঙ্গে আমার পরিচয়।
- যখন মাওবাদী আন্দোলন চলছিল। জঙ্গলমহল কাঁপছে। প্রতিবছর প্রায় চারশো লোক খুন হচ্ছিল। সেই সময় আমি মহাশ্বেতাদিকে নিয়ে এসেছিলাম এখানে মিটিং করতে। আমার মনে আছে।
- তারপর মিটিং করে ফেরার পথে ঝিটকার জঙ্গলে আমার গাড়ি প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। তারাই এখন বিজেপি করছে।
- নেতাইয়ে ৯ জন খুন হয়েছিল। আমি এসেছিলাম। পরিবার-পরিজনদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তাই আমার কাছে ঝাড়গ্রাম, নেতাই, লালগড় নতুন নয়।
- যে বামপন্থীরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চান, তাঁদের অনুরোধ সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। তৃণমূলকে ভোট দিন। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি।
- বিজেপি জেতার পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। ওরা কি কিছু করছে?
- ওরা কি চাকরি দিয়েছে, হাসপাতাল করেছে? কলেজ করেছে? স্কুল করেছে? কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প দিয়েছে?
- আমি আসার পর ৩২ হাজার ছেলেমেয়েকে হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছিলাম। তাদের অনেককেই এখন জুনিয়র কনস্টেবলের পদে উন্নীত করা হয়েছে।