অমিত শাহর ভার্চুয়াল সভা শুরু হওয়ার আগে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছিল, ১ কোটির ওপর মানুষ এই জনসভা দেখবেন। সভা শেষ হওয়ার পরে বঙ্গ বিজেপির দাবি, তাঁদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছি। অমিতজির ভার্চুয়াল জনসভা সোসাল মিডিয়ায় দেখেছেন দেড় থেকে দু’কোটি মানুষ। শুধু ফেসবুক থেকে শেয়ার হয়েছে ৩২ লক্ষ। ইউটিউবে সাড়া একটু কম পেয়েছি।" তবে রাজ্য বিজেপির ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে সরাসরি দর্শকের সংখ্যায় হতাশ দলের একাংশ।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসভা সরাসরি ‘বিজেপি ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ইউটিউবে চ্যসনেলে দেখা দর্শকের সংখ্যা অনেকটাই কম। সভা শেষ হওয়ার সময় বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউটিউবে ভিউয়ারের সংখ্যা দেখা গিয়েছে ২৯ হাজার। আর দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ, এক ঘণ্টা আগের হিসেব দেখিয়েছে ৩২,৮১২ জন। টেকনোলজির যুগে এসব তথ্য এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। ঠিক তেমনই সভা শেষের পর বিজেপি ওয়েস্ট বেঙ্গল ফেসবুকে ভিউজ ছিল প্রায় ৯ লক্ষ। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১লক্ষ ১ হাজার। সময় সময়ে তা বেড়েছে। সায়ন্তনের কথায়, "ন্যাশনাল বিজেপিও শেয়ার করায় বহু মানুষের কাছে তা পৌঁছে যায়।"
২০১৯ লোকসভা ভোটকে লক্ষ্য করে রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। ২০১৮-তে কোচবিহার থেকে সেই রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা হওয়ার কথা ছিল। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব হাজির হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের ওই শহরে। সমস্ত আয়োজন সত্বেও অনুষ্ঠানের দিন হাইকোর্টের রায়ে সেদিনের কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছিল বিজেপিকে। জনসভায় আসতে পারেননি ততকালীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। তাছাড়া নির্বাচনের সময় হেলিকপ্টার ওঠা-নামা নিয়ে রাজ্য সরকার অনেক ক্ষেত্রে অনুমতি দেয়নি বিজেপি নেতৃত্বকে। এদিন বক্তব্য রাখার সময় অমিত শাহ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভার্চুয়াল জনসভা নিয়ে। তিনি বলেন, "রাস্তা আটকানা, হেলিকপ্টারে বাধা দিয়ে কোনও লাভ হবে না। এভাবেই বক্তব্য শুনতে পারবে বাংলার মানুষ।"