বিজেপির মহিলা সাংসদরা বুধবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ যে কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির প্রতি 'অনুপযুক্ত অঙ্গভঙ্গি' করেছেন। মহিলা সাংসদরা তাঁদের অভিযোগে বলেছেন, 'উক্ত সদস্য (গান্ধী) অশালীন আচরণ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি যখন লোকসভার কক্ষে ছিলেন এবং বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, সেই সময় ওই সদস্য (রাহুল গান্ধী) তাঁর প্রতি অনুপযুক্ত অঙ্গভঙ্গি করেন।'
মহিলা সাংসদদের অভিযোগ যে, গান্ধী স্মৃতি ইরানির উদ্দেশ্যে 'লোকসভার মধ্যেই একটি উড়ন্ত চুম্বন' ছুড়েছেন। অভিযোগে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা করন্দলাজে, রেলমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জার্দোশ, সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তার মধ্যে করন্দলাজে বলেছেন যে, 'স্মৃতি ইরানি এবং সমস্ত মহিলা সদস্যদের প্রতি রাহুল গান্ধী উড়ন্ত চুম্বন দেওয়ার পরে সংসদ কক্ষ ছেড়ে চলে যান। এটি একজন সদস্যের অনুপযুক্ত এবং অশালীন আচরণ।' এই ঘটনায় বিজেপির মহিলা সাংসদরা গান্ধীর বিরুদ্ধে 'কঠোর শাস্তি'র দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন যে তাঁর (রাহুল গান্ধী) আচরণ 'নারীদের মর্যাদাকে অপমান করেছে এবং লোকসভার কক্ষকে অসম্মানিত করেছে।'
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় ইরানি বলেন, 'আজকে রাহুল গান্ধী যা করেছেন, সংসদে এর আগে কখনও একজন পুরুষের এত খারাপ আচরণ দেখা যায়নি। যেখানে একটি অধিবেশন চলাকালীন নারীর মর্যাদা রক্ষার জন্য আইন করা হচ্ছে, সেখানে জনগণের কক্ষ একজন পুরুষের দুর্বৃত্তায়নের সাক্ষী থাকল। আমার প্রশ্ন হল, তাঁর বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়?' কংগ্রেস দল অবশ্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের অভিযোগকে গেরুয়া শিবিরের 'সাইড-ট্র্যাকিং কৌশল' বলে অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন- বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ নামের যোগ্য নয়, স্মৃতির কটাক্ষে উত্তাল সংসদ
কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম বলেছেন, 'আমি বিজেপির সাইড-ট্র্যাকিং কৌশল সম্পর্কে অবগত নই। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তাঁরা (বিজেপির মহিলা সাংসদরা) রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার বিষয়বস্তু থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছেন।' এর আগে স্মৃতি ইরানি এবং রাহুল গান্ধী উভয়েই লোকসভায় 'মণিপুরে ভারতের হত্যা' মন্তব্য নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। অনাস্থা বিতর্কে বলতে গিয়ে গান্ধী বলেছিলেন যে বিজেপির রাজনীতি উত্তর-পূর্ব রাজ্যে 'ভারত মাতাকে হত্যা করেছে'। শাসক দল বিজেপির সদস্যদের তিনি দেশের প্রতি 'বিশ্বাসঘাতক' বলেও অভিযোগ করেন।