কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে বুধবারই পঞ্চম বাজেট পেশ করেছেন নির্মলা সীতারামন। আর, সেই বাজেটে মাথায় রাখা হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আগামী বছরই ফের আরও একটি লোকসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে দেশ। তার আগে বুধবারের বাজেটে দেশের মধ্যবিত্ত, মহিলা ও যুবদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। জনমুখী বাজেট বলতে যা বোঝায়, এই বাজেটে সেভাবে সামাজিক ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়নি ঠিকই। কিন্তু, মূলধনী ব্যয় বাড়িয়ে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হয়েছে।
যাতে ভর করে আবাসন এবং নির্মাণ ক্ষেত্রে গতির সঞ্চার হতে পারে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে দেশে যুবশ্রেণির কর্মসংস্থানের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সীতারামন সপ্তর্ষিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সপ্তর্ষি হল- অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, সম্ভাবনা তৈরি, সবুজ বৃদ্ধি, যুব শক্তি, শেষ মাইল পর্যন্ত পৌঁছনো, আর্থিক ক্ষেত্র এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগ।
এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে যাওয়ার আগে শেষ পূর্ণ বাজেটে উপজাতি, যুবক, মহিলা এবং মধ্যবিত্তদের জন্য মূল ঘোষণা-সহ আসন্ন বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সমর্থন ভিত্তিকে লক্ষ্য হিসেবে রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য, আয়করের ধাপগুলোকে নতুন করব্যবস্থায় পুনর্গঠিত করা হয়েছে। যার ফলে বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগে এই সীমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন- মনরেগার টাকা কেটে মূলধনী ব্যয় বাড়িয়েছে কেন্দ্র! অভিযোগ কংগ্রেসের
এর মধ্যে কর্ণাটকে ক্ষমতা ধরে রাখার ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে সীতারামন দক্ষিণের ওই রাজ্যের জন্য ৫,৩০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা ঘোষণা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, কর্ণাটকই একমাত্র রাজ্য, যার কথা সীতারামন তাঁর বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, 'কর্নাটকের খরাপ্রবণ কেন্দ্রীয় অঞ্চলে, টেকসই ক্ষুদ্র সেচ এবং পানীয় জলের জন্য ট্যাংকগুলো পরিপূর্ণ রাখতে আপার ভদ্রা প্রকল্পকে ৫,৩০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হবে।' সীতারামন যখন এই কথা বলছেন, তখন বিরোধী বেঞ্চ থেকে চিৎকার ভেসে এসেছে বারবার, 'নির্বাচন, নির্বাচন! কর্ণাটক নির্বাচন।'
Read full story in English