Advertisment

মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রচার শুরু করতে ছ'জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলার পদ্মশিবির।নেপথ্যে কী স্ট্র্যাটেজি রেখেছে দল?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
অত্যন্ত সংকটজনক প্রণব মুখোপাধ্যায়।। পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের সমানাধিকার নিয়ে ঐতিহাসিক রায়।। সুশান্তকাণ্ডে বিস্ফোরক রিয়া

আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল শিবিরের ভিত টলাতে এবার কেন্দ্রীয় শক্তিতেই আস্থা রাখতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রচার শুরু করতে ছ'জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলার পদ্মশিবির।

Advertisment

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মূল কমিটির বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ রাজ্য নেতারা জাতীয় নেতৃত্বকে দিয়েই এ রাজ্যে প্রচারাভিযান শুরু করতে চেয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েল, প্রহ্লাদ প্যাটেল, নরেন্দ্র সিং তোমার, ধর্মেন্দ্র প্রধান ও কিরেন রিজিজুকে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন। পদ্মশিবির সূত্রের খবর মন্ত্রীরা প্রায় দেড় মাস প্রচার চালাবেন এবং তারপর পরবর্তী কার্যক্রমের সিদ্ধান্তের জন্য একটি সভা করবে বিজেপি।

আরও পড়ুন, নারী সুরক্ষায় বঙ্গ বিজেপির নয়া প্রকল্প ‘আর নয় মহিলাদের অসুরক্ষা’

এই নেতাদের বেছে নেওয়ার নেপথ্যে কী স্ট্র্যাটেজি রেখেছে গেরুয়া শিবির? স্মৃতি ইরানি ভাল বাংলা বলতে পারেন, কিরেন রিজিজু উত্তরবঙ্গে প্রচার চালাবেন 'ঘরের ছেলে' হয়ে। এ রাজ্যে রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নি:সন্দেহে পীযূষ গোয়েল প্রচারে থাকবেন। দলের এক সূত্র বলেন, "যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে রেলপথের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাই পীযূষ গোয়েল প্রচারের প্রভাবশালী নাম হতে পারেন। অন্যদিকে প্রহ্লাদ প্যাটেল বাংলার সংস্কৃতি এবং যুবকদের পদ্মশিবিরের বিষয়টি দেখবেন।"

বুধবারের এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা বলেন বিজেপি শীঘ্রই এ রাজ্যে একটি বিশাল প্রচার পর্ব শুরু করবে যা বাংলার "রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, গণতন্ত্রকে হত্যা এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা"-র অবনতির বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, "কৃষি বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের বিভ্রান্ত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক প্রচার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যা সাংবিধানিক নীতিবিরোধী এবং এটি একটি অপরাধমূলক কার্যকলাপ।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp Mamata Banerjee west bengal politics
Advertisment