আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এবছর বহুদলীয় সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে চলেছে। তবে, গুজরাটের সংখ্যালঘু ভোটারদের তাতে কোনও যায় আসে না। এখানকার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিয়ে রীতিমতো সতর্ক। কারণ, গুজরাটের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ মুসলিম। কিন্তু, সেই ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ যে কোনও দলই এখনও পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তাই ভোট এল কী গেল, তাতে তাঁদের কোনও যায় আসে না।
এবার, ১৮২টি নির্বাচনী এলাকাজুড়ে, কংগ্রেস মাত্র ছয় জন মুসলিম প্রার্থীকে প্রার্থী করেছে। ২০০২ সালের দাঙ্গার পর থেকেই এমনটা চলছে। বিজেপির আবার দুই দশক ধরে একজন মাত্র খ্রিস্টান প্রার্থী। তিনি ভিয়ারা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দল শেষবার ১৯৯৮ সালে ভাগরা বিধানসভা কেন্দ্রে একজন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, তিনি ব্যর্থ হন। তারপর থেকে আর কোনও মুসলিম প্রার্থী নেই।
এবারের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে দাগ কাটতে চাইছে আম আদমি পার্টি। তার তিন জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) মোট ১৩টি মনোনয়নপত্র পেশ করেছে। তার মধ্যে আবার ১১ জনই মুসলিম। অবশ্য মুসলিম সম্প্রদায় থেকে বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীও আছেন। যাঁরা কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসাবেন বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন- এনডিটিভির মালিকানা দখলে মরিয়া আদানি, শুরু হয়েছে ওপেন অফার, তাতে লাভ?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, গুজরাটের মুসলিম ভোটব্যাংক ঐতিহ্যগতভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের গুরুত্ব কমেছে। একইসঙ্গে কমে গিয়েছে মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যাও। ১৯৯৫ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ১০ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল। ১৯৯৮ সালে সেটা কমে ৯ জন হয়।
২০০২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরও কম ৫ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তার পাঁচ বছর পর ২০০৭ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৬। কিন্তু, ২০১২ সালে ফের সেই সংখ্যা কমে ৫ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ এবং এবার ২০২২ সালে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ৬-এ আটকে আছে।
Read full story in English