রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত গত সপ্তাহে দেশকে 'ইন্ডিয়া' নয়, 'ভারত' বলতে আহ্বান জানিয়েছেন। ভাগবত আসলে সঙ্ঘ পরিবারের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্যই অনুসরণ করেছেন। কারণ, আরএসএস স্বাধীনতার আগে থেকেই ইন্ডিয়ার বদলে ভারত শব্দের ব্যবহার করে আসছে। সংঘ এবং বিজেপির কাছে শুধু ভারত শব্দের মধ্যেই ভারতীয়দের জন্য ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট আছে। যা, ইন্ডিয়ার মধ্যে নেই।
Advertisment
'অযথা' বিতর্ক এই নাম নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। জি২০ শীর্ষ বৈঠকের জন্য বিরোধী নেতাদের কাছে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে, তা ভারতের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। তাতে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত কথাটির উল্লেখ আছে। যা, নিয়ে হইচই শুরু করেছেন বিরোধীরা। যদিও, এই হইচইকে অবান্তর বলেই মনে করছেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন তথা বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস এই বিতর্ক তাকে রেখে দিয়েছিল। এখন সময় পেয়ে তা কাজে লাগাচ্ছে।
সংঘ পরিবারের বক্তব্য অনির্বাণ গাঙ্গুলি এই ব্যাপারে বলেন, 'ভারতই তো এই দেশের স্বাভাবিক নাম। এটা বিজেপির আদর্শের ব্যাপার নয়। সমস্ত ভারতীয় ভাষা দেশটিকে ভারতই বলে। বাংলা সাহিত্য পড়ুন এবং ভারত কাকে বলে তা জানুন। ভারত এবং ইন্ডিয়া উভয়ই সংবিধানের অংশ। আমরা ভারতকে প্রাধান্য দিচ্ছি কারণ, বেশি লোকজন একে ভারতই বলে।' গাঙ্গুলি বলেছেন যে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁরাই 'ইতিহাস এবং আমাদের সভ্যতার পরিচয় বিকৃত করা'র ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল।
অনির্বাণ গাঙ্গুলি আরও বলেন, 'ব্রিটিশরা অনেক নাম দিয়েছে। কিন্তু, পরবর্তীকালে সিলন শ্রীলঙ্কা এবং বার্মা মায়ানমারে পরিণত হয়েছে। এটা হলে কোন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে? বিরোধীরা সংবিধানে কোন শব্দ আগে আছে, সেই যুক্তি দিচ্ছেন। কিন্তু সেকুলার বা সোস্যালিস্টের মত শব্দগুলো যে নেই, সেই শব্দগুলোর ক্ষেত্রে তাঁরা বিরোধিতা করবেন না?'