নেতাজিকে নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির দড়ি টানাটানি অব্যাহত। নেতাজি কার? এই নিয়ে সেই লড়াই পড়ল তৃতীয় বছরে। নেতাজিকে দখল রাখতে দুই দলেরই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার নেতাজি জয়ন্তী বা নেতাজির জন্মদিন উদযাপন। আর, তাতেই দুই দল একে অপরকে টেক্কা দিতে মরিয়া।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী 'পরাক্রম দিবস (বীর্য দিবস)' হিসেবে পালন করা হবে। ফরওয়ার্ড ব্লক দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালন করার দাবি জানাচ্ছিল। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পরাক্রম দিবসের ঘোষণা সেই দাবির ট্র্যাক থেকে শুধু ফরওয়ার্ড ব্লকই নয়, টিএমসিকেও ছিটকে দিয়েছিল। যাকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকারের নেতাজিকে ব্যবহারের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখেছে তৃণমূল এবং ফরওয়ার্ড ব্লক, দুই দলই।
গত বছর, রাজ্যের প্রস্তাবিত প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো বাদ পড়ায় টিএমসি সমালোচনায় সরব হয়েছিল। কারণ, প্রস্তাবিত ট্যাবলো সুভাষ বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে বোস এবং তাঁর সেনাবাহিনীর অবদানকে স্মরণ করে তৈরির কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি সরকারকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য না-করলেও পরে সেপ্টেম্বরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়া গেটে ২৮ ফুট নেতাজি মূর্তির উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন- মুসলিমদের ভয়ের কিছু নেই কিন্তু, আধিপত্যের ভাবনা ছাড়তে হবে, সাবধানবাণী ভাগবতের
চলতি বছর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতার শহিদ মিনারে একটি সমাবেশে ভাষণ দেবেন। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এতে বাঙালি মধ্যবিত্তদের মধ্যে বিজেপির অবস্থান পোক্ত হবে। যার সুফল মিলবে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে। কারণ, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ। যেখানে নেতাজির মত সমগ্র বাংলার আইকনের জনপ্রিয়তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায় বিজেপি। ভাগবত তাই নেতাজিকে নিয়ে ভাষণ দিলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় গেরুয়া শিবির বিশেষ লাভবান হবে বলেই আশা করছে বিজেপি নেতৃত্ব।
Read full story in English