24th Madurai CPIM Party Congress: কেরল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এমএ বেবিকে সিপিআইএম পার্টির নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সিপিএমের ২৪তম মাদুরাই পার্টি কংগ্রেস বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর পর থেকে এই পদটি খালি ছিল। সিপিআইএম পার্টি কংগ্রেস বৈঠক রবিবার তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই পার্টির পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এমএ বেবির নাম চূড়ান্ত করা হয়। এই নির্বাচনের ফলে আরও দক্ষিণে ঝুঁকল সিপিএম। কারণ এই মুহূর্তে গোটা দেশে একমাত্র কেরলেই ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। বেবির স্থলাভিষেক একপ্রকার পার্টির কেরল লাইনকেই মজবুত করল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কে এমএ বেবি?
৭০ বছর বয়সী এমএ বেবি (মরিয়ম আলেকজান্ডার বেবি) সিপিআইএম-এর ছাত্র শাখা স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI) থেকে সক্রিয় রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। এরপর বেবি পার্টির যুব শাখা ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (DYFI) সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত
সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে এমএ বেবি ছাড়াও অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালের নামও ঘোরাফেরা করছিল। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর পর থেকে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদকের পদটি খালি ছিল। এখন পর্যন্ত প্রকাশ কারাট অস্থায়ীভাবে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সিপিএমের বয়সবিধির কারণে দীর্ঘ কয়েকযুগ পর পার্টি থেকে সরে গেলেন প্রকাশ কারাট এবং বৃন্দা কারাট।
আরও পড়ুন গ্রেড ওয়ানে' পাস ওয়াকফ সংশোধনী বিল ! লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও মোদী 'ম্যাজিক'
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সিপিআইএম-এর প্রধান হওয়া এমএ বেবি কেরল থেকে দ্বিতীয় নেতা। এর আগে ইএম নম্বুদিরিপাদও এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পলিটব্যুরোর ১৬ সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য এমএ বেবির নাম সমর্থন করেছেন। এমএ বেবি কেরলের কোল্লাম জেলার প্রাক্কুলম এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন মুসলিম দেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, তথ্য পেশ করে সংসদে আওয়াজ তুললেন জয়শঙ্কর
বয়সবিধির কারণে এবারের পার্টি কংগ্রেসে ৭ জনের পলিটব্যুরো থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল। প্রকাশ এবং বৃন্দা কারাট, সুহাষিনী আলি, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বাংলার সূর্যকান্ত মিশ্র এবং তামিলনাড়ুুর জি রামকৃষ্ণণ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পিনারাই বিজয়নকে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্য হিসাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন সরে গেলেন। সূর্যকান্ত মিশ্রের জায়গায় বাংলা থেকে শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, মানিকের জায়গায় ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী পলিটব্যুরোর সদস্য হয়েছেন।