প্রয়াত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানী চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পার্থবাবুর বাড়িতে যান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব পৌছনোর আগে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত বক্সী-সহ অন্যরা। শনিবারই কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে তৃণমূলে ফেরার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছিল দুই পক্ষ। এদিকে, ভোটে পরাজয়। মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদান। জোড়া ধাক্কার মাঝেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলের ‘বেসুরো’রা। এবার তাই গেরুয়া শিবিরের ‘বেসুরো’দের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট জানালেন, বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ-তপস্যা করতেই হবে। ক্ষমতালোভীরা থাকতে পারবেন না, দলও তাঁদের রাখবে না। দলত্যাগ বিষয়টিকেও ‘অভ্যাস’ বলে দেগে দিয়েছেন দিলীপ। অর্থাৎ, বিজেপি করতে হলে যে দলীয় নীতি-আদর্শ মানতেই হবে, তা এ দিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বেসুরো’দের বার্তা দিতে রবিবার ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ‘দল ছাডা়টাই এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি সেই লোকেদের উপর নির্ভর করে যাঁরা রক্ত দিয়ে, ঘাম ঝরিয়ে দলকে দাঁড় করিয়েছে। বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ-তপস্যা করতে হবে। যারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তারা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না, আমরাই রাখব না।’
অপরদিকে, ফেসবুক পোস্টের পর এবার সটান কুণাল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কী মুকুল রায়ের পর পদ্ম ছেড়ে জোড়া-ফুলে আসার পথ মসৃণ হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর? শনিবাসরীও সন্ধ্যায় এই জল্পনা চরমে ওঠে। কিন্তু, তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক বা রাজীব- দু’জনেই জানিয়েছেন এটা আসলে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’। এমনকী এই সাক্ষতের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ খোঁজার চেষ্টাও উচিত নয় বলে মত তাঁদের। তবে, দলের রাজ্য সম্পাদকের নিষেধ উড়িয়ে এই সাক্ষাৎ নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গলায় হুঁশিয়ারির সুর!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন