প্রয়াত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্র। ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হন চন্দন মিত্র। ২০১৬-তে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। বিজেপির লৌহমানব লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন চন্দন মিত্র। তবে গেরুয়া দলে মোদী-শাহ জমানা শুরুর পর থেকেই তাঁর গুরুত্ব কমতে শুরু করে।
৬৫ বছর বয়সে চলে গেলেন সাংবাদিক তথা প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্র। বুধবার রাতে দিল্লির বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিকতার জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন একাধিক পত্রিকায়। পায়োনিয়ার নামে বিখ্যাত একটি সংবাদমাধ্যমে দীর্ঘদিন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন চন্দন মিত্র। এছাড়াও দ্য সানডে অবজারভার, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতো কাগজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিছুদিনের জন্য অধ্যাপনাও করেছেন চন্দন মিত্র।
২০০৩ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করা হয় তাঁকে। পরে ২০১০-এ ফের দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির সমর্থনে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত হন তিনি। লালকৃষ্ণ আদবানি-সহ বাজপেয়ী জমানার একাধিক তাবড় গেরুয়া নেতার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তবে তাল কাটে ২০১৪-এর পরে। ওই বছরেই বিজেপিতে শুরু হয় মোদী-যুগ। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের হাতে চলে যায় গেরুয়া দলের কর্তৃত্ব। তারপর থেকে দলে যেন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন চন্দন মিত্র। পরে ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- আফগান শিখ ও হিন্দুদের গুরুপূরবে ভারত-যাত্রায় সায় তালিবানের
চন্দন মিত্রের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে মোদী লিখেছেন, "শ্রী চন্দন মিত্রজি তাঁর বুদ্ধি এবং অন্তর্দৃষ্টির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি গণমাধ্যমের জগতে নিজেকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।"
প্রাক্তন সাংসদের মৃত্যুতে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে তাঁর শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “শ্রী চন্দন মিত্রের মৃত্যুতে শোকাহত। সাংবাদিকতা ও রাজনীতির জগতে তাঁর অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
চন্দন মিত্রের প্রয়াণে শোকাহত তাঁর বন্ধু তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন তিনিও। স্বপন দাশগুপ্ত টুইটে লিখেছেন, “আমার কাছের বন্ধু পাইওনিয়ার সম্পাদক এবং প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্রকে হারালাম। আমরা লা মার্টিনিয়ারের ছাত্র হিসেবে একসঙ্গে ছিলাম এবং সেন্ট স্টিফেনস এবং অক্সফোর্ডে গিয়েছিলাম। আমরা একইসঙ্গে সাংবাদিকতায় যোগ দিয়েছিলাম।” টুইটে চন্দন মিত্রের সঙ্গে তাঁর স্কুলজীবনের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন স্বপন দাশগুপ্ত।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন