ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার-সহ প্রবীণ সিপিএম নেতাদের কনভয়ের ওপর শুক্রবার সন্ধেবেলা হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আগরতলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সিপাহীজোলার রাস্তার মাথায় হামলা হয়। নভেম্বর বিপ্লবের স্মৃতির উদ্দেশে আয়োজিত এক সভা থেকে ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে।
এই হামলাকে 'অগণতান্ত্রিক' এবং 'ফ্যাসিবাদী' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বামেরা। তাঁরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ত্রিপুরার বিজেপির দিকেই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বাম জমানার বেশ কিছু নেতাও ছিলেন শুক্রবারের অনুষ্ঠানে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা, সোনামুড়ার বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী, এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শহিদ চৌধুরীর গাড়ির ওপরেও হামলা হয়েছে।
"বিশালগড়ের দলীয় কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত বৈঠক ছিল। বৈঠক সেরে ফেরার পথেই বেশ কিছু দুষ্কৃতী কনভয় লক্ষ করে হামলা চালায়," বলেছেন পুলিশ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক।
বিধায়ক নারায়ন চৌধুরীর দুই সহকারী সামান্য জখম হয়েছেন হামলায়। কনভয়ের কিছু গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ত্রিপুরার সিপিএম রাজ্য কমিটির বক্তব্য, হামলার পেছনে "বিজেপি-র গুণ্ডাদের" হাত রয়েছে।
ত্রিপুরা সিপিএম-এর পক্ষ থেকে রাখাল মজুমদার বলেন, "শুক্রবারের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মানিক সরকার। সভার বাইরে কিছু দুষ্কৃতী জমায়েত হয়ে চেষ্টা করছিল বাকিরা যাতে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারে, সেই অবস্থার সৃষ্টি করতে।"
বিজেপি মুখপাত্র ডঃ অশোক সিনহা জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন, যদি তেমন কিছু হয়েও থাকে, তা কাম্য নয়। "খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এরকম কিছু ঘটে থাকলে রাজ্য সরকার দুষ্কৃতীদের শাস্তি দেবে। মানিক সরকারের মতো নেতার ওপর হামলা একেবারেই কাম্য নয়।"
ত্রিপুরা কংগ্রেসের উপ সভাপতি তাপস দে ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, এ থেকে স্পষ্ট যে, বিজেপি কাউকেই স্বাধীনভাবে বিরোধিতা করার সুযোগ দেবে না।
Read the full story in English