রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। বস্তুত, ছাত্র সংসদের প্রায় কোনও অস্তিত্বই নেই। এবার ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে নেতৃত্ব তৈরি করতে উদ্যোগী হলেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছাত্র সংগঠন থেকে 'ইন্টারেকশন সেশন'-এর মাধ্যমে পরবর্তী নেতৃত্ব তুলে আনতে দু'দিনের কনভেনশনের আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই মুখোমুখি আলাপের আয়োজন করা হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে বুধবার এমন ঘোষণাই করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মমতার চ্যালেঞ্জ, "এমন নেতৃত্ব তৈরি করব যার ফলে আগামী ৫ বা ১০ বছর নয়, ৫০ বছর সিপিএম ও বিজেপি বাংলার দিকে তাকাবে না।"
১৯৯৮-তে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেভাবে ছাত্র সংগঠন থেকে নেতৃত্ব উঠে আসেনি। যাঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে, তাঁদের প্রায় সকলেই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এবার তাই তাজা রক্তের খোঁজে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে, তাদের সঙ্গে কথা বলেই নেতৃত্ব তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মেয়ো রোডে তৃণমূলনেত্রী বলেন, "আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর প্রত্যেকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে একটা 'ইন্টারেকশ সেশন' করব। ওই দিন কোনও কাজ রাখবেন না। পার্থদাকে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) বলব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদেরও সেখানে নিয়ে আসতে। তাঁরাও থাকবেন। তাঁদের সঙ্গেও মুখোমুখি আলোচনা হবে।"
কীভাবে এই আলোচনা হবে তাও বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "যাদের কোয়ালিটি আছে এমন ছাত্র-ছাত্রীদের একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করছি। সবুজ কাগজে একটা ফর্ম তৈরি করা হবে। সেখানে নাম, ফটো, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং কোন কোন কাজে উৎসাহ আছে তা লিখতে হবে। আমার কাছে ওই ফর্ম জমা পড়বে। ওই তালিকা ধরে ধরে ডাকব।" এরপরই 'প্রত্যয়ী' তৃণমূল সুপ্রিমোর চ্যালেঞ্জ, "এমন নেতৃত্ব তৈরি করব যে বিজেপি বা সিপিএম ৫ বা ১০ বছর কেন, ৫০ বছরেও বাংলার দিকে তাকাবে না।"