Advertisment

'বিজেপির মূল ভোটব্যাঙ্ক তফশিলিরা, সংগঠনে আনতেই হবে মতুয়াদের', দাবিতে এককাট্টা বিধায়করা

মঙ্গলবার মতুয়া অনুগামী চার বিদ্রোহী বিধায়ক ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Four Matua MLAs demanded that Matua be given a place in the BJP organization

বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়ালেন মতুয়া বিধায়করা।ছবি: গৌতম মণ্ডল

সোমবার দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। এবার মতুয়া অনুগামী চার বিদ্রোহী বিধায়ক ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মঙ্গলবার সন্ধেয় এই বৈঠক ছিলেন সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনিয়া, অসীম সরকার ও মুকুটমণি অধিকারীর মতো বিজেপি বিধায়কেরা। আগামী দিনে কী হবে রণকৌশল, তা ঠিক করতেই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতারা। মতুয়া সমাজের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

Advertisment

দলের রাজ্য সংগঠন থেকে স্থানীয় সংগঠনে জায়গা মেলেনি মতুয়াদের। যা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় মতুয়া বিধায়কদের মধ্যে। শেষমেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই ছিল মঙ্গলবারের বৈঠক।

মঙ্গলবার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী বলেন, "এই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি আলোচনায় উঠে এসেছে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা ও নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করতে হবে। মতুয়া সম্প্রদায়ের একজনকে ও রাজ্য বিজেপির এসসি মোর্চা-র বিভিন্ন পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে।''

আরও পড়ুন- ‘মোদীর সৌজন্যেই ত্রিপুরা কোভিড ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’, কটাক্ষ তৃণমূলের

যদি তাঁদের দাবি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব মেনে না নেন, তবে কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ? সেব্যাপারেও ফের একবার নিজেদের মধ্যে বৈঠেক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টির মূল ভোটব্যাঙ্ক তফশিলি জাতির। আমরা যা কিছু করছি বিজেপির স্বার্থে। আমাদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার জন্য।" তাঁর দাবি, ''আমরা একটা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি। সেখানকার নেতৃত্বের কাছে আমাদের কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে। আমরা যদি তাঁদের এক জায়গায় রাখতে পারি তাহলে আগামী দিনে এটা বিজেপির লাভ।''

bjp West Bengal Matua
Advertisment