লকডাউনে রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থা নিয়ে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গণবন্টন প্রক্রিয়াকে 'রাজনীতির খাঁচা মুক্ত' করা জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন তিনি। এছাড়াও, গরীবদের কাছে বিনামূল্যে সঠিক পরিমান খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, 'গণবন্টন ব্যবস্থাকে রাজনীতিক খাঁচামুক্ত করা প্রয়োজন। আমলারা রাজনীতি নিরপেক্ষ আচরণ করুন। দুর্নীতি ও কালোবাজারি রোধ করতে হবে। গরীবদের জন্য সঠিক পরিমান ও গুনমানের খাদ্য সামগ্রী নিশ্চিত করতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যকে বিনামূল্যে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন চাল ও ১০,৮০০ মেট্রিকটন আটা পাঠানো হয়েছে। টুইটে এই বিষয়টিরও উল্লেখ করেন জগদীপ ধনকড়। তিনি লেখেন, 'কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে বিনামূল্যে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন চাল ও ১০,৮০০ মেট্রিকটন আটা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র বিমামূল্যে রেশন দিচ্ছে। প্রত্যেক কার্ডের বিনিময়ে ৫ কেজি করে চাল ও ১ কেজি করে ডাল দেওয়া হচ্ছে।' আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে মুগ ডাল পাঠানো হবে বলে জানান রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন- ‘সত্যান্বেষী’ মমতা, ফাঁস করলেন রেশন দুর্নীতির ‘ভুয়ো’ অভিযোগ
করোনা পরিস্থিতির গোড়া থেকেই বাংলায় রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রেশন থেকে রাজ্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাল ও আটা ডিলাররা ঠিকমতো দিচ্ছে না বলে দাবি করে বিরোধী শিবির। এরপরই সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের খাদ্য সচিবকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই যা ঘোষণা করেছিলেন। রেশন নিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যকে চিঠি পাঠান তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘গণবন্টনের অনিয়মের কারণে গরিব মানুষ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় খাদ্য শস্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ পরে নবান্নের তরফে রাজ্যপালকে চিঠিতে জানানো হয়, ‘রাজ্য এখনও কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য পায়নি। তাও বাংলার ৯ কোটিরও বেশি মানুষকে গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সংকটজনক সময়ে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মাস, রেশনের মাধ্যমে প্রতি মাসে মাথাপিছু ৫ কিলো করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’
পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রেশনে চাল দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করতে ময়দানে নামেন। দুর্নীতির অভিযোগ 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেন তিনি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন