নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র । লোকসভায় কন্ঠভোটে পাস এথিক্স কমিটির সুপারিশ। সেই সুপারিশেই সিলমোহর দিলেন লোকসভার স্পিকার। এরপরেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া মৈত্র বলেন, 'আজ আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। আমি নিশ্চিত আগামীকাল আমার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ে লাগানো হবে। আদানিকে বাঁচাতে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমানোর চেষ্টা।' পাশাপাশি মহুয়া বলেন, ‘এথিক্স প্যানেল প্রমাণ ছাড়াই কাজ করেছে’।
লোকসভা সাংসদ হিসাবে বহিষ্কারের পরে মহুয়া মৈত্রের প্রথম প্রতিক্রিয়া। পাশাপাশি বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ ভারতীয় জনতা পার্টিকে সতর্ক করে বলেছেন আগামী “৩০ বছর, সংসদের ভিতরে এবং বাইরে” লড়াই জারি থাকবে’। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিম ও মহিলাদের ঘৃণার অভিযোগও সামনে আনেন। লগইন পোর্টাল সহ জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে মহুয়া বলেন, ‘আদানি আমাদের সমস্ত বন্দর, আমাদের সমস্ত বিমানবন্দর কিনছেন… স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের তা কেনার ছাড়পত্র দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার মত বিষয় নিয়ে কেন কোন প্রশ্ন উঠছে না’।
দুবাই ভিত্তিক দর্শন হিরানন্দানিকে, সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে, সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছিল, জাতীয় লোকপালের সুপারিশ মতো মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে CBI যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে মহুয়া মৈত্রর দাবি, মোদী সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিজেপি।