শনিবারই পেট্রোল, ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি কমিয়েছে কেন্দ্র। প্রেট্রোলে লিটার প্রতি ৮ টাকা ও ডিজেলে ৬ টাকা দাম কমানো হয়েছে। প্রবল মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও জ্বালানির এই দাম কমেছে। ওই দিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জ্বালানিতে রাজ্যগুলিকে তাঁদের প্রাপ্য কর ছাড় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী পেট্রোল, ডিজেলের শুল্ক ছাড়বে? তা নিয়েই চর্চা ছিল বঙ্গবাসীর মধ্যে। কিন্তু, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সেই চর্চায় ইতি পড়ল। আপাতত বাংলায় আর দাম কমছে না জ্বালানির।
Advertisment
জ্বালানির দামে শুল্ক ছাড় নিয়ে রাজ্যের কী মতামত? সোমবার তা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলায় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ডিজেলে ২ টাকা ৩ পয়সা কমেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই ছাড়ের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের দেওয়া ছাড়েও তুলনা টানেন তিনি। জানান কেরলে জ্বালানিতে ২.৬১ টাকা ও মধ্যপ্রদেশে ২.০৮ টাকা শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়।
পেট্রোল, ডিজেলের উপর জারি থাকা রাজ্যের ছাড়ের জন্য নবান্নের ৩৬৮.৩৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সেস বাবদ ক্ষতির পরিমাণ আরও ৫০০ কোটি। মোট ক্ষতির সংখ্যা ১১০০ কোটি টাকার।
এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা বলেছেন, 'অনেকেই বলছেন, এই রাজ্যে এত টাকা কমিয়েছে, ওই রাজ্য অত টাকা কমিয়েছে। কিন্তু সেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো কেন্দ্রের কাছ থেকে কত টাকা পায়, আর আমরা কত টাকা পাই? আমাদের পাওনাই তো দেওয়াই হয় না।'
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, 'কেন্দ্র পেট্রোল, ডিজেলের দামের উপর সেস ওঠায়নি। ওটা তো রাজ্য পায় না। কেন্দ্রই পায়। এখন আবার শুল্ক ছাড়ের কথা বলে রাজ্যের ঘাড়ে বোঝা চাপাচ্ছে।'
অর্থাৎ জ্বালানীর উপর নতুন করে আর শুল্ক ছাড়ের সম্ভাবনা নেই, এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যেই কার্যত তা স্পষ্ট হয়ে গেল।