রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এলকে আদবানি।
রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কি না তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন বিজেপির সিনিয়র নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি।
রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য মুখ আদবানি বলেছেন, "ভাগ্য ঠিক করেই রেখেছিক যে শ্রী রামের মন্দির অবশ্যই অযোধ্যায় তৈরি হবে।" তিনি আরও বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন, তখন তিনি আমাদের ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। বিশাল মন্দিরের একটি অংশ প্রস্তুত প্রায় সম্পন্ন। শিগগিরই মন্দিরের গর্ভগৃহে বসবেন রামলালা। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্টা ২২ জানুয়ারি হতে চলেছে। বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, যিনি রাম মন্দির আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন, তিনি রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আদবানি এর আগে রাম মন্দির নিয়ে একটি 'নিবন্ধ' লিখেছেন। তাঁর সেই নিবন্ধে আডবানি লিখেছেন যে 'নিয়তি আগেই ঠিক করে রেখেছিল যে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হবে'। আদবানি আরও লিখেছেন, যে এই সময়ে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে মিস করছেন।
লাল কৃষ্ণ আদবানি লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন রাম মন্দির দেশবাসীকে উৎসর্গ করবেন, তখন তিনি আমাদের ভারতের প্রতিটি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আমি প্রার্থনা করি যে এই মন্দিরটি সমস্ত ভারতীয়কে শ্রী রামের গুণাবলি গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।" বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) প্রধান অলোক কুমার বৃহস্পতিবারও দাবি করেছেন যে রাম মন্দির আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা পালনকারী লাল কৃষ্ণ আদবানি ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে রাম মন্দির আন্দোলনে আদবাণী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ হাজার হাজার মানুষ রাম মন্দির প্রাণ প্রতিস্থা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। যেখানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সনিয়া গান্ধী এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন যে বিজেপি নির্বাচনী লাভের জন্য রাম মন্দির ইস্যুকে সামনে আনছেন।