লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে বিজেপিকে আরও বেশি করে হাতের মুঠোয় আনতে পদক্ষেপ করল মোদি-শাহ লবি। দলের শীর্ষ নীতিনির্ধারক কমিটি সংসদীয় বোর্ডে করা হল রদবদল। বাদ দেওয়া হল একদা লালকৃষ্ণ আদবানির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। বাদ পড়লেন সংঘের অনুগত নেতা, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিও।

তাঁদের বদলে সংসদীয় বোর্ডে আনা হল কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে। স্থান পেলেন অনেক লো প্রোফাইল নেতা অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও। সংসদীয় বোর্ডে বাকি যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে ভারতজোড়া পরিচিতি একমাত্র মোদি, শাহ, জেপি নাড্ডা আর রাজনাথ সিংয়ের। ১১ সদস্যের সংসদীয় বোর্ডের বাকিরা হলেন দলের সংগঠন সম্পাদক বিএল সন্তোষ, কে লক্ষ্মণ, ইকবাল সিং লালপুরা, সুধা যাদব, সত্যনারায়ণ জটিয়া।

যাঁদের মধ্যে সুধা যাদব, লক্ষ্মণ আর লালপুরাকে দলেরই ঠিক কতজন কর্মী চেনেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপির অভ্যন্তরেই। তবুও কেন্দ্রের শাসক দলের নীতি নির্ধারক কমিটির প্রথম একাদশে এই সব নেতাদের নাম রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। স্বল্প পরিচিত এই সব মুখের মধ্যে আইপিএস ইকবাল সিং লালপুরা প্রাক্তন পুলিশকর্তা। বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে এই প্রথম শিখ সম্প্রদায়ের কেউ স্থান পেল।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী অধিকারবাদীদের ফলো-রিটুইট, সৌদি আরবের বধূকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড
রদবদল করা হল দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিও। বাদ পড়লেন আদবানি ঘনিষ্ঠ বিজেপির বর্ষীয়ান সংখ্যালঘু মুখ শাহনওয়াজ হুসেন। কমিটিতে ঢুকলেন ভূপেন্দ্র যাদব, দেবেন্দ্র ফড়ণবিশরা। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সংসদীয় বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্য কারা থাকবেন, নিজে ঠিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তারপরও কেন বর্ষীয়ান এবং অভিজ্ঞ শিবরাজ, গড়করি ও শাহনওয়াজকে বাদ দেওয়া হল? বিজেপি সূত্রে খবর, এতে দলের শীর্ষস্তর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় নেতাদের (পড়ুন মোদি-শাহ) পক্ষে সহজ হবে। স্বভাবতই বিজেপির এই গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। গড়করি-শিবরাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে কংগ্রেসের টিপ্পনি, ‘প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীর’।
Read full story in English