গুরগাঁওতে এক মুসলমান ব্যক্তিকে আক্রমণের ঘটনাকে 'নিন্দনীয়' বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ গৌতম গম্ভীর। ক্রিকেটারের মন্তব্য নিয়ে ট্রোল করা হয়েছে তাঁকে। সেই প্রসঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে গৌতম গম্ভীর বললেন, "ট্রোল কিমবা সমালোচনাটা সমস্যা নয়। আমি সাদা-কালোতেই বাঁচব। মিথ্যে দিয়ে আড়াল করে রাখার চেয়ে সত্যি কথা বলা অনেক সহজ"।
বরকত আলম নামে এক ২৫ বছরের ব্যক্তির মাথার টুপি খুলে দিয়ে তাঁকে ‘জয় শ্রী রাম' বলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। পূর্ব দিল্লি কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রার্থী গৌতম গম্ভীর টুইট করে এই ঘটনায় ‘দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ' দাবি করেন। তিনি লেখেন—‘‘আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। গুরুগ্রামে মুসলিম ব্যক্তির মাথার টুপি খুলে নেওয়া হল, ‘জয় শ্রী রাম' বলতে বলা হল। এটা শোচনীয়। গুরুগ্রাম কর্তৃপক্ষের উচিত দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ যেখানে জাভেদ আখতার লেখেন ‘ও পালনহারে, নির্গুণ অউর ন্যায়ারে' এবং রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা ‘দিল্লি ৬' ছবিতে আমাদের উপহার দেন ‘আর্জিয়া'র মতো গান।''
আরও পড়ুন, ফেসবুকে গোমাংস সংক্রান্ত পোস্ট করে দু’বছর পর গ্রেফতার আদিবাসী শিক্ষক
গম্ভীরের টুইটে সাড়ে চার হাজারের ওপর মন্তব্য আসে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন বেছে বেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধেই হামলা নিয়েই কেন সোচ্চার হলেন ক্রিকেটার? এই প্রশ্নের উত্তরে গম্ভীরের জবাব, "আমার ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবনা এসেছে নরেন্দ্র মোদীর 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, এই আদর্শ থেকে। আর শুধু গুরুগ্রামের ঘটনায় আমি নিজের প্রতিবাদকে সীমিত রাখব না। যেকোনো সম্প্রদায়ের, ধর্মের মানুষের ওপর যেকোনো রকম অত্যাচারই নিন্দনীয়। ভারত সহিষ্ণুতা এবং সবাইকে নিয়ে চলার আদর্শের ওপর গঠিত"।
তবে গম্ভীরের অবস্থানের সঙ্গে তার দলের অনেকেই সহমত নন। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার আর ক'মাস পরেই বিধানসভা ভোট। তা মাথায় রেখে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন হওয়ায় এই টুইট ফিরিয়ে নেওয়া উচিত গৌতম গম্ভীরের, এমনটাই মত দলের এক নেতার।
আনুষ্ঠানিক ভাবেও বিজেপি মুখপাত্র তাজিন্দর পাল সিং বাজ্ঞা গম্ভীরের অবস্থানকে সমর্থন করেননি। তিনি টুইট করে বলেছেন, "বিজেপির মধ্যেই কোনও তর্ক বিতর্ককে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা চলছে"।
Read the full story in English