৩ রা জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাদান কর্মসূচী। সারা দেশে যখন ওমিক্রন তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে তার মাঝেও এই টিকাকরণ কিছুটা হলেও অন্ধকারে মধ্যে আলোর সন্ধান দিয়েছে। বিশেষ করে ওমিক্রনে একের পর এক শিশুর আক্রান্তের ঘটনা সামনে আসায়। এর মাঝেই মুম্বইয়ে ধীর গতিতে টিকাদানের অভিযোগ উঠেছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) ডেটা অনুসারে ১০ দিনে মোট যোগ্য জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশের টিকাদানের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিএমসির দেওয়া তথ্য অনুসারে, মুম্বইতে যোগ্য বয়সসীমার মধ্যে মোট ৯ লক্ষ শিশু রয়েছে তার মধ্যে টিকা পেয়েছে মাত্র ১ লক্ষ ৮ হাজার। বুধবার পর্যন্ত বিএমসির প্রায় ৯৫,৪৪১ টি কেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতালের ৯,৩৫৯ টি এবং রাজ্য সরকার পরিচালিত ৩,৫৮০ টি টিকাকেন্দ্র মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন মাত্র ১২ শতাংশের কাছাকাছি।
মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। কেন এত ধীর গতিতে চলেছে টিকাদান, কী বলছেন আধিকারিকরা? বিএমসির এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খুব কম শিশুই টিকা নেওয়ার জন্য টিকাদান কেন্দ্রে হাজির হচ্ছে। তাই ১০ দিন কেটে গেলেও সেভাবে এগোয়নি টিকাদান প্রক্রিয়া। বিএমসির পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মোট ৯ লক্ষ শিশুকে টিকাদান সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে এভাবে অভিভাবকদের মধ্যে শিশুদের টিকাদান নিয়ে এভাবে অনীহা কাজ করলে সেই লক্ষ্যমাত্রা কিভাবে পূরণ করা সম্ভব তা ভেবে পাচ্ছেন না বিএমসির আধিকারিকরা। বিএমসির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'ছোটদের টিকাদানে অভিভাবকদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে'।