ফের এক ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে। সিবিআইয়ের হাতে এল দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক প্রতারণা মামলা। শনিবার এই মামলায় এবিজি শিপইয়ার্ড লিমিটেড আর তার তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঋষি কমলেশ আগরওয়ালকে অভিযুক্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে জানতে পেরেছে, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি ব্যাংককে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে এবিজি শিপইয়ার্ড লিমিটেড।
ঋষি কমলেশ আগরওয়ালের পাশাপাশি, সিবিআইয়ের অভিযুক্তের তালিকায় আছে সংস্থার তত্কালীন কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর সন্থানম মুথাস্বামী, ডিরেক্টর অশ্বিনী কুমার, সুশীলকুমার আগরওয়াল এবং রবি বিমল নেভেটিয়াও। এর পাশাপাশি, এবিজি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডকেও এই মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তাকারীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতিদমন আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করেছিল। ২০২০ সালের ১২ মার্চ, তার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের চাওয়া সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি, ২০২০ সালের আগস্টে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার পর, ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিবিআই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় দফার ভোটপ্রচারেও কংগ্রেস-বিজেপির মুখে সেই পুরনো বুলি
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এবিজি ইন্টারন্যাশনালকে স্টেট ব্যাংক-সহ ২৮টি ব্যাংক এবং আর্থিক সংস্থা থেকে ২,৪৬৮.৫১ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল। ওই অর্থ পাওয়ার জন্য অভিযুক্তরা মিলিতভাবে বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়েছিল। তহবিল তছরুপ করেছিল। আর্থিক নয়ছয় করেছিল। পাশাপাশি, বিশ্বাসভঙ্গের কার্যকলাপও চালিয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে খাতে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, খাতের পাশাপাশি বরাদ্দ হওয়া টাকা ইচ্ছামতো নিজেদের স্বার্থে ব্যয় করেছিল অভিযুক্তরা।
Read story in English