কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য রাহুল গান্ধীকেই দুষলেন গুলাম নবি আজাদ। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেছেন যে 'রাহুল গান্ধীর পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন’। পাশাপাশি প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ আরও বলেন, যে রাহুল গান্ধীর মধ্যে যদি ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীর এক-পঞ্চমাংশও থাকত তবে তিনি রাজনৈতিক ভাবে সফল হতেন।
বুধবার (৫ই এপ্রিল) তার আত্মজীবনী প্রকাশ উপলক্ষে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেস নেতাকে তীব্র আক্রমণ করেন। ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টির প্রধান গুলাম নবি আজাদ এদিন ফের একবার তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার কারণ হিসাবে রাহুল গান্ধীকেই দায়ি করেছেন। তিনি এদিন বলেন, রাহুলের কারণেই তিনি দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টির প্রধাণ এদিন বলেন, সেদিন রাহুল গান্ধী যদি নিজে সেই আইনের বিরোধীতা না করতেন তাহলে এভাবে আজ তাঁকে তাঁর সাংসদ পদ হারাতে হত না।
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'রাহুলের অপরিণত এবং শিশুসুলভ আচরণের জন্যই কংগ্রেসের এই বিপর্যয়'। এদিন তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দলের অনান্য নেতাদের সুরাটের আদালতে যাওয়া নিয়েও পালটা প্রশ্ন তোলেন। আজাদ তার বিবৃতিতে বলেন, ‘সমস্ত রাজনৈতিক দলের কিছু ত্রুটি রয়েছে, কংগ্রেসেও কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমি আশা করি কংগ্রেস দল নিজেদের সেই ভুলগুলি সংশোধন করবে, এগিয়ে যাবে এবং জাতীয় দলের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করবে’।
এদিকে কংগ্রেসও গুলাম নবি আজাদের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেদা বলেছেন, যে দল একজন কর্মীকে (গুলাম নবী আজাদ) এত বড় নেতা বানিয়েছে এবং আজ তিনিই সেই দলকেই অভিশাপ দিচ্ছেন। তিনি দলের আস্থা ভঙ্গ করেছেন। তিনি যখন দল ছেড়েছিলেন তখন বলেছিলেন, আজ আমি স্বাধীন হয়েছি। আজ আমরা নিশ্চিত আপনি স্বাধীন নয়, দলদাসে পরিণত হয়েছেন’।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে.সি. ভেনুগোপাল বলেন, গুলাম নবি আজাদ যা বলছেন তা বিজেপির মুখের কথা। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ রাহুলের কাজের সাক্ষী। রাহুল গান্ধীর কাজের জন্য আজাদ শংসাপত্রের দরকার নেই’। কংগ্রেস নেতা সুপ্রিয়া শ্রীনাতেও আজাদের এই মন্তব্যের জন্য তাকে তীব্র আক্রমণ করেন। এরপর থেকে এক এক করে নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য কার্যত রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করেন প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং নিজের দল ডেমোক্রাটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি তৈরি করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রী